রবিবার রাতে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (Pakistan Air Strikes) আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সন্ত্রাসী সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবানের (টিটিপি) ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। প্রতিবেদন অনুসারে, এই হামলায় সাইমন এবং টিটিপি উভয়ের অবস্থানই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
পাকিস্তান বিমান বাহিনী অন্তত ৩টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে এই হামলা (Pakistan Air Strikes) চালিয়েছে। পাকিস্তানি বিমান বাহিনী এই বিমান হামলায় এফ-১৭ এবং জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান সহ ৬টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
টিটিপির বেশ কয়েকটি অবস্থানে বোমাবর্ষণ
কাবুল ফ্রন্টলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানি বিমান বাহিনী টিটিপি-র বেশ কয়েকটি অবস্থানে ব্যাপক বোমা হামলা (Pakistan Air Strikes) চালিয়েছে। জানা যাচ্ছে যে এই বোমা হামলায় পাকিস্তানি তালিবানের 12 থেকে 15 জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তবে, এই তথ্য শুধুমাত্র প্রাথমিক। সংশোধন করা যেতে পারে।
টিটিপি-র হামলায় বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এই বিমান হামলা চালানো হয়। টিটিপি হামলায় ২১ বছর বয়সী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্টও নিহত হন।
একই পরিবারের ৮ জনের মৃত্যু
কাবুল ফ্রন্টলাইন তাদের প্রতিবেদনে আরও বলেছে যে, পাকিস্তানের দিক থেকে দেশের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের একটি গ্রামে এই বিমান হামলা (Pakistan Air Strikes) চালানো হয়েছে। হামলায় একই পরিবারের ৮ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে একজন মহিলা ও ৭ জন শিশু রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে আফগানিস্তানের পাক্তিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় বোমা হামলা হয়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছে তা সত্য নয়। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে এই হামলা হয়।
হামলার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, কিস্তানি তালিবান বা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) পাকিস্তানি বাহিনীর উপর হামলা জোরদার করেছে। একই সময়ে, পাকিস্তান আফগান তালেবানদের বিরুদ্ধে এই সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে।