পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত নওশেরা একসময় পশ্চাদপদ অঞ্চল হিসাবে বিবেচিত হত। এই পিছিয়ে থাকা অঞ্চল বর্তমানে সোনা আবিষ্কারের (Pakistan Gold Reserve) কারণে শিরোনামে রয়েছে। সিন্ধু নদীর তীরে বড় আকারের সোনা উত্তোলন হচ্ছে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে বদলে দিয়েছে। কুন্ড থেকে নিজামপুর পর্যন্ত বিস্তৃত এই অঞ্চলে খনন কার্যক্রম দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিন্ধু নদীতে সোনার কণা আবিষ্কার (Pakistan Gold Reserve) নওশেরাকে খনির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত করেছে।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ডনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সিন্ধু নদীতে দিন-রাত খননের কাজ চলছে। খননকারীরা নদীর গভীরতা থেকে মাটি ও পাথর বালতিতে ভরাট করে এবং তারপর সোনার স্লুইস ম্যাট ব্যবহার করে বালি থেকে সোনার কণা বের করার চেষ্টা করে। এই খনির কাজের ফলে, এলাকায় কর্মরত শ্রমিকরাও ভাল মজুরি পাচ্ছেন। একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে, যা স্থানীয় শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে।
নওশেরায় সিন্ধু ও কাবুল নদীর সঙ্গমস্থলে প্লেসার স্বর্ণ উত্তোলন (Pakistan Gold Reserve) এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি বড় পরিবর্তন এনেছে। আগে এই অঞ্চলে ছোট পরিসরে খনন হত, কিন্তু গত কয়েক মাসে এই কার্যকলাপ বড় পরিসরে শুরু হয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ দিন-রাত নদীর তলদেশে ঘুমের সন্ধান করছেন।
এই বছরের গোড়ার দিকে অ্যাটকের কাছে ৮০০ বিলিয়ন টাকার স্বর্ণের মজুদ দাবি করা হলে এই অঞ্চলে স্বর্ণের সন্ধান জনসাধারণের নজরে আসে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ পাকিস্তানের (জিএসপি) একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পঞ্জাবের প্রাক্তন খনি ও খনিজ মন্ত্রী ইব্রাহিম হাসান মুরাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দাবি করেছেন। এই প্রতিবেদনটি সারা দেশে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, যা সোনার সন্ধানকে আরও তীব্র করে তোলে।
তবে, স্বর্ণ অনুসন্ধান এবং খনির এই প্রবণতা পরিবেশবিদদের চিন্তিত করে তুলেছে। প্লেসার স্বর্ণ উত্তোলন (Pakistan Gold Reserve) সিন্ধু নদীর বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করছে। নদীর তলদেশে আরও বেশি খনন করার কারণে মাছের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় এটি জলে বসবাসকারী প্রাণীর জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে। উপরন্তু, পারদের ব্যবহার নদীর জলের গুণমানকেও প্রভাবিত করছে, যার ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে।