হরিয়ানার পঞ্চকুলা থেকে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। একই পরিবারের ৭ জনের আত্মহত্যার (Panchkula Suicide) ঘটনায় এলাকার মানুষ হতবাক। নিহতের পরিবারের সদস্যরা দেরাদুনের বাসিন্দা ছিলেন। তারা হনুমান কথায় অংশগ্রহণের জন্য দেরাদুন থেকে পঞ্চকুলায় এসেছিলেন। পঞ্চকুলার ২৭ নম্বর সেক্টরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
সূত্রের খবর, একই পরিবারের ৭ জন সদস্য গাড়িতেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা (Panchkula Suicide) করেছেন। তাদের সকলের মৃতদেহ পঞ্চকুলার ২৭ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়ির বাইরে রাস্তার ধারে পার্ক করা একটি গাড়িতে আটকে রাখা অবস্থায় পাওয়া গেছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা দেরাদুনের বাসিন্দা ছিলেন। বলা হচ্ছে যে পরিবারের সদস্যরা ঋণগ্রস্ত ছিলেন এবং আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছিলেন।
প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ
পঞ্চকুলার ডিসিপি হিমাদ্রি কৌশিকের মতে, “আমরা খবর পেয়েছি যে ওজস হাসপাতালে ছয়জনকে আনা হয়েছে। আমরা সেখানে পৌঁছানোর পর দেখতে পাই যে তাদের সকলেই মৃত। আরও একজনকে সেক্টর ৬ সিভিল হাসপাতালে আনা হয়েছে, তাকেও মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যার (Panchkula Suicide) ঘটনা। ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে সমস্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। নিহতরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য।”
পঞ্চকুলা পুলিশের মতে, সাতটি মৃতদেহই পঞ্চকুলার বেসরকারি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
পরিবারটি হনুমান কথায় যোগ দিতে এসেছিল
আসলে, দেরাদুনের বাসিন্দা প্রবীণ মিত্তল তার পরিবারের সাথে পঞ্চকুলার বাগেশ্বর ধামে আয়োজিত হনুমান কথা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর, দেরাদুনে ফিরে আসার সময়, তারা গণ আত্মহত্যার এই পদক্ষেপ নেয়।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৪২ বছর বয়সী প্রবীণ মিত্তল, যিনি দেরাদুনের বাসিন্দা, তাঁর বাবা-মা, প্রবীণের স্ত্রী এবং তিন সন্তান, যার মধ্যে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। পঞ্চকুলার ডিসিপি হিমাদ্রি কৌশিক এবং ডিসিপি আইন ও শৃঙ্খলা অমিত দাহিয়াও ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
