Panihati: ‘একজন অপরাধী কী ভাবে চেয়ারম্যান হন?’ প্রশ্ন অভয়ার বাবার

পানিহাটি (Panihati) পুরসভার নতুন পুরপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান সোমনাথ দে। সদ্যপ্রাক্তন চেয়ারম্যান মলয় রায় মাঠ বিক্রির অভিযোগে পদত্যাগ করার পর সোমনাথ দে-কে এই পদে নিয়োগ করা হয়েছে। তবে, এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রয়াত চিকিৎসক অভয়ার বাবা সোমনাথ দে-র নিয়োগে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তাঁর অভিযোগ, সোমনাথ দে অভয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

অভয়ার বাবা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “একজন অপরাধী কী ভাবে চেয়ারম্যান হন? শিয়ালদহ আদালতের রায়ে আমার মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় যে ক’জন তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে জড়িত, তার মধ্যে সোমনাথ দে-র নাম আছে। আমরা জানি, তিনি আর জি কর থেকে দেহ দ্রুত নিয়ে এসে দাহ করার ব্যবস্থা করেছিলেন। শ্মশানের নথিতে তাঁর স্বাক্ষর রয়েছে। তিনি তো অস্বীকার করতে পারবেন না।”

অভয়ার বাবার আরও অভিযোগ, “আমার মেয়ের মৃত্যুর পর প্রমাণ লোপাটে অত্যন্ত তৎপরতা দেখিয়েছিলেন সোমনাথ দে। আর মুখে বলেছিলেন, আমাদের সাহায্য করছেন। কী সাহায্য, আমরা নিজেরাই জানি না। উনি তো অপরাধী, সেই অপরাধীকে কী ভাবে এত উঁচু পদ দেওয়া হয়? এটা দেখে আমরা বিস্মিত।”

প্রসঙ্গত, পানিহাটি পুরসভায় অমরাবতীর মাঠ বিক্রি নিয়ে বিতর্কের জেরে মলয় রায় পদত্যাগ করেন। এরপর সোমনাথ দে-কে নতুন পুরপ্রধান নির্বাচিত করা হয়।

সোমনাথ দে-র ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক

অভয়ার মৃত্যুর পর তাঁর দেহ দ্রুত সৎকারের ক্ষেত্রে সোমনাথ দে-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পরিবারের অভিযোগ, খুন সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সোমনাথ দে। তাই তাঁর নিয়োগে এত আপত্তি অভয়ার বাবার।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পানিহাটি শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এই নিয়োগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

Exit mobile version