রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) ইচ্ছেপূরণে সম্মত হল এসএসকেএম হাসপাতাল। সূত্রের খবর, মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে (Partha Chaterjee) স্থানান্তর করার বিষয়ে আপত্তি নেই বলে আদালতকে জানাতে চলেছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবারই স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে (Partha Chaterjee) ।
এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল। তাঁর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে, পায়ের ফোলা ভাব কমে গিয়েছে এবং অনিয়মিত হার্টবিটও এখন নিয়ন্ত্রণে। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও অনেকটা কমেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। যদিও চিকিৎসা আরও কিছুদিন চালানো উচিত ছিল বলে মত তাঁদের, তবে পার্থ নিজেই এসএসকেএমে আর থাকতে চান না।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরাম এবং ব্যক্তিগত অ্যাটেনডেন্ট চেয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন, যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মঞ্জুর করেনি। সি-প্যাপ নেওয়া বা HRCT করানোর মতো চিকিৎসকদের পরামর্শেও তিনি সাড়া দেননি। এই পরিস্থিতিতে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষও তাঁকে আর হাসপাতালে ধরে রাখতে রাজি নয়।
এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের চিকিৎসার নামে হাসপাতালে থাকা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে এসএসকেএম। কালীঘাটের কাকু, অনুব্রত মণ্ডল কিংবা পার্থ চট্টোপাধ্যায়—এঁদের নিয়ে বিতর্কের পুনরাবৃত্তি এড়াতে এবছর থেকে নতুন নীতি নিয়েছে হাসপাতাল। রোগী হস্তান্তরের সুযোগ থাকলে তৎক্ষণাৎ তা কার্যকর করার দিকেই এগোতে চায় তারা।
নতুন বছরে এসএসকেএমের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারই মূল লক্ষ্য বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত সেই নীতিরই প্রতিফলন। তবে পার্থর স্বাস্থ্য ও বিচার-সংক্রান্ত বিষয়গুলি কীভাবে এগোয়, তা নিয়েই এখন নজর থাকবে সবার।
অন্যদিকে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জামিন পাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ভর্তি করা হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বার বার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।