PM Modi US Visit: ‘বাংলাদেশ, চিন, প্রতিরক্ষা, নির্বাসন’, মোদী-ট্রাম্প সাক্ষাতের বিস্তারিত জানালেন পররাষ্ট্র সচিব

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে (PM Modi US Visit) বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক শেষ হয়েছে। আজ সকালে (মার্কিন সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে) গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়, যেখানে বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি গণমাধ্যমকে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে এই সফর হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ।

দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই মোদির প্রথম মার্কিন সফর

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই মোদীর (PM Modi US Visit) প্রথম মার্কিন সফর। মিসরি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিষেকের তিন সপ্তাহ পর এই সফর দুই দেশের নেতাদের সম্পর্কের প্রতি অগ্রাধিকারের ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলেন, বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমেরিকা সফর অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক ছিল। দুই নেতা অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা এবং বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে সম্মত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে বাণিজ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই সফর ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছে। পররাষ্ট্র সচিবের মতে, এই সফরটি দেখায় যে উভয় দেশ একে অপরের সাথে দৃঢ় কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অবৈধ অভিবাসী নিয়ে ভারত-মার্কিন আলোচনা

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে (PM Modi US Visit) অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি বলেন, এই ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করা দুই দেশের দায়িত্ব, যাতে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা যায়। তাহাবুর রানার প্রত্যর্পণ নিয়েও আলোচনা হয়েছিল, যার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এখন কেবল কিছু চূড়ান্ত প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে।

বাংলাদেশ ও চিন নিয়েও আলোচনা হয়েছে

বৈঠকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক গঠনমূলক পথে এগিয়ে যাবে। চিনের ইস্যুতে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা সবসময় দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের পক্ষে এবং একই নীতি অনুসরণ করে চলবে।

Exit mobile version