Prize Money: রোহিতদের জন্য কোষাগার উজার করে দিয়েছে বিসিসিআই, তা ভাগ হবে এইভাবে

বিশ্বকাপ জয়ের পরপর ঘোষণা করা অর্থ পুরস্কারের (Prize Money) কে কতটুকু পাবেন, সেটি চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ খেলোয়াড়ের সঙ্গে প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও পাচ্ছেন ৫ কোটি টাকা। কোচিং স্টাফে আরও ছিলেন ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর, ফিল্ডিং কোচ টি দিলিপ ও বোলিং কোচ পরশ মামরে। তাঁদের সবাই পাবেন আড়াই কোটি টাকা করে। আর খেলোয়াড় বাছাই করেছেন যাঁরা, অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন সেই নির্বাচক কমিটির প্রত্যেকে পাবেন ১ কোটি টাকা করে।

ভারতের ৪২ সদস্যের বিশ্বকাপ দলে ছিলেন তিনজন ফিজিও, তিনজন থ্রোডাউন স্পেশালিস্ট, দুজন ম্যাসিওর এবং স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ। তাঁদের সবাইকে দেওয়া হবে ২ কোটি টাকা করে। দলের সঙ্গে নিয়মিত না থাকলেও রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে ডাক পাওয়া রিংকু সিং, শুবমান গিল, আবেশ খান ও খলিল আহমেদদের দেওয়া হবে ১ কোটি টাকা করে। এ ছাড়া ভিডিও অ্যানালিস্ট, মিডিয়া অফিসারসহ বিসিসিআইয়ের স্টাফদেরও পুরস্কৃত (Prize Money) করা হবে। এ বিষয়ে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র বলেছে, ‘খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের পুরস্কারের পরিমাণ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাইকে ইনভয়েস (চালান) জমা দিতে বলা হয়েছে।’

বিসিসিআইয়ের বাইরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে টি২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের জন্য ১১ কোটি টাকা অর্থ পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করেছেন। এর আগে ভারত সর্বশেষ আইসিসি টুর্নামেন্ট জিতেছিল ২০১৩ সালে। তখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ী মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ১ কোটি টাকা করে অর্থ দিয়েছিল বিসিসিআই। সাপোর্ট স্টাফদের দেওয়া হয়েছিল ৩০ লাখ টাকা করে। ২০১১ সালে ধোনির নেতৃত্বে ৫০ ওভারের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলের খেলোয়াড়েরা পেয়েছিলেন ২ কোটি টাকা করে, সাপোর্ট স্টাফরা ৫০ লাখ এবং নির্বাচকেরা ২৫ লাখ করে। আর ২০০৭ সালে প্রথম টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর পুরো দলকে ১২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল।

১৯৮৩ সালে প্রথম বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলকে কোনো অর্থ পুরস্কার দেয়নি বিসিসিআই। বোর্ডের কাছে পুরস্কার দেওয়ার মতো অর্থ না থাকায় তহবিল গঠনের জন্য লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল। কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন দলের খেলোয়াড়দের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল সে সময়।

Exit mobile version