মঙ্গলবার সকালে পুনেতে বাস স্ট্যান্ডে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার (Pune Bus Rape Case) হলে গোটা দেশ আবারও হইচই পড়ে যায়। ঘটনাটি শহরের সোয়ারগেট বাস স্ট্যান্ডের কাছে একটি খালি বাসে ঘটে, যেখানে নির্দিষ্ট পুলিশ স্টেশন মাত্র ১০০ মিটার দূরে। এটি পুনরায় মনে করিয়ে দেয় ২০১২ সালের দিল্লির নির্ভয়া ধর্ষণ কাণ্ডকে, যা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নারীদের প্রতি সমাজের মনোভাব নিয়ে গভীর প্রশ্ন তৈরি করেছিল।
এই ঘটনার পর প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও বক্তব্য দিয়েছেন, যেখানে তিনি বলেন, ‘‘নির্ভয়া ঘটনার পর আইনে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু শুধু আইন দিয়ে এসব বন্ধ করা সম্ভব নয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটি সমাজের বড় দায়, আইন বাস্তবায়ন করতে হবে সঠিকভাবে। নারীরা যেখানেই যান, তাদের নিরাপদ বোধ করা উচিত।’’
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পাওয়ার অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি তুলেছেন, আর জাতীয় মহিলা কমিশনও বিষয়টি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে গ্রহণ করে, রাজ্য পুলিশের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ঘটনাটি রাজনীতিরও কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের খোঁজে ১৩টি দল তৈরি করেছে।
এটি শুধু আইনের বা পুলিশের বিষয় নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরকে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে, যেন নারীরা কোথাও সুরক্ষিত থাকতে পারে।
মামলাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- মঙ্গলবার ভোর ৫:৪৫ থেকে ৬ টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। মেয়েটি বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে সাতারার বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। তারপর ৩৬ বছর বয়সী দত্তাত্রেয় রামদাস গাড়ে সেখানে পৌঁছান। সে মেয়েটিকে দিদি বলে সম্বোধন করল।
- ভুক্তভোগী জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত তাকে বলেছিলেন যে সাতারার বাসটি অন্য প্ল্যাটফর্মে ছিল। এরপর সে তাকে বাসস্ট্যান্ডে পার্ক করা একটি খালি বাসে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। ঘটনার পর অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।