রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Putin) বৃহস্পতিবার অস্বীকার করেছেন যে তিনি ২০০৭ সালে একটি সভায় জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলকে (Angela merkel) ভয় দেখানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তার কালো ল্যাব্রাডর কোনিকে একটি সংবাদ সম্মেলনে নিয়ে এসেছিলেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন(Putin)বলেছেন, তিনি মেরকেলকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য নন। জার্মানির একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন এ কথা বলেন।
জানিয়ে রাখি, এই কূটনৈতিক ঘটনা সে সময় খবরে ছিল। মার্কেল তার নতুন স্মৃতিকথা “ফ্রিডম”-এ লিখেছেন যে, পুতিন (Putin) কখনও কখনও বিদেশী অতিথিদের সাথে বৈঠকে পোষা প্রাণী নিয়ে আসতেন জেনে, তিনি গত বছর পুতিনের দলের একজন সহযোগীকে অনুরোধ করেছিলেন যে কোনি তাকে কুকুরের ভয়ে তার উপস্থিতিতে তাকে বের করে আনবেন না।
মার্কেলের(Angela Merkel) মতে, তিনি ১৯৯৫ সালে একটি কুকুর দ্বারা আক্রান্ত হন এবং তারপর থেকে কুকুরকে ভয় পান। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে পুতিন (Putin) যখন তার বিশাল কালো ল্যাব্রাডর কনিকে রাশিয়ার সোচিতে তার বাসভবনে একটি মিটিংয়ে নিয়ে আসেন, তখন তার ছবি তোলা হয়েছিল স্পষ্টতই অস্বস্তিকর দেখাচ্ছে এবং কুকুরটি মার্কেলের কাছে যাওয়ার সাথে সাথে পুতিন (Putin) হাসছিলেন।
কুকুরটি ঘরের চারপাশে ঘুরে বেড়িয়েছিল এবং সরাসরি মার্কেলের(Angela Merkel) কাছে গিয়েছিল, যখন চ্যান্সেলর, স্পষ্টতই অস্বস্তিকর দেখায়, ফটোগ্রাফার এবং টিভি ক্যামেরার সামনে পুতিনের সাথে (Putin) বসেছিলেন।
এখন, কয়েক বছর পরে, পুতিন একটি জার্মান সংবাদপত্র বিল্ডকে বলেছেন যে মার্কেলকে ধমকানোর কোনো উদ্দেশ্য তার ছিল না। “আমি তার জন্য সুন্দর কিছু করতে চেয়েছিলাম,” তিনি একটি সাক্ষাত্কারে সংবাদপত্রকে বলেছিলেন। “যখন আমি জানলাম সে কুকুর পছন্দ করে না, আমি ক্ষমা চেয়েছিলাম।” পুতিন যেভাবে মার্কেলের সাথে আচরণ করেছেন এবং পুতিনের (Putin) অনেক সমালোচনা করেছেন তাতে জার্মান সংবাদমাধ্যম ক্ষুব্ধ হয়েছিল।