আরজি করে (RG Kar) দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষ সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করল সিবিআই। তবে সেই চার্জশিট (RG Kar) আদালত গ্রহণ করেনি বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার আদালতে (RG Kar) চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। কিন্তু সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। এক্ষেত্রে আদালতের (RG Kar) তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এখনও অনুমোদন আসেনি। প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) দুর্নীতির অন্যতম প্রধান চিকিৎসক আশিষ পাণ্ডে ও সন্দীপ ঘোষ দুজনেই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক।
আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে বার বার তৎকালীন প্রিন্সিপালের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে থাকে। আরজি কর কাণ্ডে যোগ থাকার অভিযোগের পাশাপাশি অভিযোগ ওঠে আরজি করে দুর্নীতির সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের সরাসরি যোগ থাকায়। আরজি কর কাণ্ডের পরেই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করা হয়। তারপরেই হাইকোর্টের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত সিবিআই, তাই আরজি করের দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই। আরজি করের দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষে সঙ্গে সরাসরি যোগ পাওয়া যায়। আরজি কর দুর্নীতির তদন্তে পুলিশ প্রথম সন্দীপ ঘোষকে করে।
এই আবহে শুক্রবার দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ আদালতে চার্জশিট পেশ করেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দা। ১২৫ পাতার চার্জশিটের সঙ্গে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ ও নথি জমা দেওয়া হয়েছিল আদালতে। সিবিআই চার্জশিটে স্পষ্ট জানিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বেই দুর্নীতি হয়েছে। এছাড়া চার্জশিটে রয়েছে আশিস পান্ডে, ব্যবসায়ী সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ ও আফসার আলি খানের নাম।
এর আগে সিবিআইয়ের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সন্দীপ ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্কে বেআইনি লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট (বলা যেতে পারে ‘ইডির এফআইরএর’) দায়ের করে মামলার তদন্ত চলছে। এই তদন্ত চলাকালীন সন্দীপের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের নামে একাধিক সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, সন্দীপই নিজের আত্মীয়দের নামে এই সব সম্পত্তি কিনে থাকতে পারেন। এই আবহে সম্পত্তি কেনার ওই টাকা কোন উৎস থেকে এসেছে, তা জানতে সন্দীপের আত্মীয়দের লিখিত বয়ানও নেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, সন্দীপ, তাঁর পরিবারের কয়েক জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। বেআইনি ভাবে যে সব সংস্থা হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করেছিল, তাদেরই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুরপথে কোটি কোটি টাকা সাদা করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।