আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar) চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ ও খুন মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা হবে আজ, সোমবার। এর আগে সঞ্জয়ের (RG Kar) মা মালতি রায় বলেন, “দোষী হলে ছেলেকে ফাঁসি দেওয়া হোক, আমার কোনও আপত্তি নেই।” শিয়ালদা আদালতে এই মামলায় (RG Kar) দোষী সাব্যস্ত করার পর সঞ্জয় দাবি করেছিল, সে নির্দোষ এবং পুলিশ তাকে যা বলতে বলেছিল, সে তাই বলেছে।
শিয়ালদা আদালত থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা সঞ্জয়ের মা জানান, ছেলের দোষ প্রমাণিত হলে ফাঁসির সাজা হলে তিনি আপত্তি করবেন না। তিনি বলেন, “আইনের চোখে দোষ প্রমাণিত হয়েছে। আমি একা একা কাঁদব। এটাই ভবিতব্য।” সঞ্জয়ের মা নির্যাতিতার মায়ের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বলেন, “সেই ডাক্তারের মায়ের কষ্ট আমি অনুভব করতে পারছি। তিনি আমার মেয়ের মতোই।”
শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস জানান, সিবিআই পেশ করা তথ্যপ্রমাণ যথেষ্ট। সঞ্জয় রায়কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের এমন আঘাত যাতে মৃত্যু হতে পারে), এবং ১০৩(১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই ধারাগুলির অধীনে সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে ফাঁসি বা মৃত্যুদণ্ড।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার রুম থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরদিনই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যায়। সিবিআই ৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে, যেখানে সঞ্জয় রায়কে মূল অভিযুক্ত করা হয়। চার্জশিটের ভিত্তিতে ৪ নভেম্বর সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয় এবং ১১ নভেম্বর থেকে বিচার শুরু হয়।
সঞ্জয়ের আইনজীবী দাবি করেন, সিভিক ভলান্টিয়ারকে ফাঁসানো হয়েছে এবং প্রমাণগুলিতে ঘাটতি রয়েছে। যদিও বিচারক এই দাবিগুলি খারিজ করে দেন। সোমবার দুপুরে সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করবে আদালত। রাজ্যের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে নজর এখন সেই দিকেই।