কলকাতা: বাংলার লোক সঙ্গীতের ঐতিহ্যকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়া বাউল সম্রাট (ROWA Felicitate Purnachandra) পূর্ণচন্দ্র দাস, যিনি ৯২ বছর বয়সেও তার সঙ্গীত সাধনা এবং লোকগানের মহিমা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে অক্লান্ত। বীরভূমের এক সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে তিনি স্বয়ং রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ‘বাউল সম্রাট’ উপাধি লাভ করেন। ২০১৩ সালে তিনি ভারত সরকারের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সম্মান পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন। দেশ-বিদেশের অসংখ্য সম্মাননা তার ঝুলিতে।
সম্প্রতি কলকাতার আয়কর ভবনে আয়কর বিভাগের রেভিনিউ অফিসিয়ালস ওমেন অ্যাসোসিয়েশন (ROWA) কর্তৃক আয়োজিত ‘লোক তরঙ্গ’ অনুষ্ঠানে এই মহান সঙ্গীত শিল্পীকে বিশেষ সংবর্ধনা (ROWA Felicitate Purnachandra) জানানো হয়। এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ROWA-এর চেয়ারপারসন অর্চনা কুমার, প্রিন্সিপাল চিফ কমিশনার, ওয়েস্ট বেঙ্গল ও সিকিম নীরজ কুমার, ROWA-এর সদস্য নিবেদিতা বিশ্বাস, দপ্তরের কর্মচারীবৃন্দ এবং বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে পূর্ণচন্দ্র দাস তার বাউলের তত্ত্বকথা তুলে ধরেন এবং পরে তার জনপ্রিয় গান, যেমন—’মেনকা মাথায় দিল ঘোমটা’, ‘গোলেমালে গোলে মালে’ গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন। তার কণ্ঠে লোকগানের জাদু যেন আজও অমলিন।
ROWA-এর চেয়ারপারসন অর্চনা কুমার তার বক্তব্যে লোক সঙ্গীতের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “লোক সঙ্গীত শুধু মনোরঞ্জনের মাধ্যম নয়, এটি আমাদের অতীত ও বর্তমানের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে।” পূর্ণচন্দ্র দাসের মতো শিল্পীরা এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছেন এবং নতুন প্রজন্মের কাছে এর গুরুত্ব তুলে ধরছেন, যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
বাউল সম্রাট পূর্ণচন্দ্র দাস প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, শিল্প সাধনার কোনো বয়স হয় না। তার জীবন এবং সঙ্গীত নতুন প্রজন্মের কাছে এক অনুপ্রেরণা। তার এই নিরলস প্রচেষ্টা বাংলার লোক সঙ্গীতকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং বিশ্বের দরবারে এর পরিচিতি বাড়াবে।