Sanjay Rai: এক মাস ধরে সঞ্জয় রায়ের এক জামা! দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ তদন্তকারী আধিকারিকরা

৯ আগাস্ট আরজি করের চেস্ট বিভাগের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Rai) গ্রেফতার করে। জানা যাচ্ছে, যে পোশাকে সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Rai) গ্রেফতার করা হয়, গত এক মাসের বেশি দিন ধরে সেই পোশাকেই রয়েছেন সঞ্জয় রায়। এই পরিস্থিতিতে সঞ্জয় রায়ের  (Sanjay Rai) পোশাক থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করেছে। সেই দুর্গন্ধের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

 

জানা যাচ্ছে ১১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্সি জেলে নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সেই সময় সঞ্জয় রায়ের (Sanjay Rai) পোশাকের দুর্গন্ধ থেকে তাঁদের নাক সিঁটকাতে হয়েছিল। এরপরেই পরিচিতের মাধ্যমে সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Rai) অন্য একটি পোশাক ও ট্রাউজার পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১০ সেপ্টেম্বর সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।

ইতিমধ্যে আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়। সেই টেস্টে একাধিক ধোঁয়াশা দেখতে পাওয়া যায়। এবার সঞ্জয় রায়ের নারকো টেস্টের আবেদন করেছে সিবিআই। এই প্রসঙ্গে শুক্রবার শয়ালদহ আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে, সঞ্জয় রায়ের লালারসের নুমনা নতুন করে সংগ্রহ করে দিল্লি পাঠিয়েছে সিবিআই।

আরজি কর কাণ্ডে  মৃতা তরুণীর শরীরে একাধিক আঘাতে দাগ রয়েছে। চোয়ালে একটি জায়গায় কালশিটে রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ওটা বাইট মার্ক। সিবিআই তদন্ত করে জানতে চাইছে সেই কামড়ের দাগ সঞ্জয় রায়ের কিনা। এর আগে সিএফএসএল বিশেষজ্ঞদের দাবি ছিল, সেই কামড়ের দাগ  অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের। বুধবার সিবিআইয়ের আধিকারিকরা প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছান। জানা গিয়েছে, তদন্তকারী আধিকারিকরা সেখান থেকে সঞ্জয় রায়ের লালারস সংগ্রহ করেছে। নিহত তরুণীর ডানদিকের চোয়ালে কালো রঙের কালশিটে ছিল। সেটা বাইট মার্ক বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই দাগ কার তৈরি করা, সেই বিষয়ে সিবিআই তদন্ত করতে শুরু করেছে। সিএফএসএল এই দাগ ধৃত সঞ্জয় রায়ের তৈরি করা হলে দাবি করেছিল।

 

Exit mobile version