আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়লেন সঞ্জয় রায়ের (Sanjay Roy)দিদি। শনিবার শিয়ালদা আদালতে বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয়কে (Sanjay Roy)দোষী ঘোষণা করেন। বিচারক জানান, সোমবার সাজা ঘোষণা হবে। দোষীসাব্যস্ত(Sanjay Roy) সঞ্জয়ের সর্বনিম্ন শাস্তি হতে পারে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
পরিবারে শোকের ছায়া
বিচারকের রায় ঘোষণার পর সঞ্জয়ের দিদি বলেন, “আইন যা নির্দেশ দেবে, আমরা তা মেনে নেব।” তিনি জানান, ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিশেষ যোগাযোগ ছিল না। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সঞ্জয়ই সবচেয়ে ছোট। তিনি আরও জানান, “ভাইয়ের দুটো বিয়ে হয়েছিল। তবে মহিলাদের প্রতি কটূক্তি করত বলে কখনও শুনিনি। তবে এখন তো তথ্য-প্রমাণ সামনে আসছে।”
প্রেক্ষাপট: আরজি কর কাণ্ড
গত বছরের ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হল থেকে তিলোত্তমা মণ্ডলের দেহ উদ্ধার হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় তারা।
পরিবারের বক্তব্যে অসহায়তা
ভাইকে দোষী বলে মনে করেন কি না, এই প্রশ্নে সঞ্জয়ের দিদি বলেন, “ধরা পড়ার সময় এমনটা মনে হয়নি। কিন্তু এখন তো তথ্য-প্রমাণ সামনে আসছে।” তিনি জানান, ভাই মদ্যপান করতেন, তবে এমন নৃশংস কাজ করতে পারেন, তা ভাবতে পারছেন না।
সোমবার হবে সাজা ঘোষণা
সোমবার দুপুরে শিয়ালদা আদালতে বিচারক সঞ্জয়ের শাস্তির রায় দেবেন। সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘটনায় তিলোত্তমার পরিবার যেমন বিচার পাওয়ার আশায় আছে, তেমনই সঞ্জয়ের পরিবার শাস্তি মেনে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।