ইছাপুরে শ্যুট-আউট! গুলিবিদ্ধ মহিলা কাউন্সেলর, শুরু হয়েছে বিজেপি- তৃনমূলের রাজনৈতিক চাপানউতোর

খবর এইসময়ঃ লকডাউনের মাঝেই ভর সন্ধ্যেবেলায় শ্যুট-আউটের ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুর মায়াপল্লি এলাকায়। নিজের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হলেন তৃনমূলের বিদায়ী মহিলা কাউন্সিলর চম্পা দাস। প্রাক্তন এই কাউন্সেলরের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।অল্পের জন্যে প্রাণে বাঁচলেন চম্পা দেবী। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি লাগে তাঁর বাঁ পায়ে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চম্পা দেবীকে নিয়ে যাওয়া হয়  ব্যারাকপুর বি,এন,বসু মহাকুমা হাসপাতালে সেখা্নকার চিকিৎসকেরা তাঁকে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করলে তাঁর পরিবারের লোকজন কলকাতা বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃনমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ব্যারাকপুরের চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তম দাস বলেন, ‘চম্পা দাস আগে নির্দল হয়ে জিতেছিল কিন্তু পড়ে আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসে আসার তৃণমূলেরই কাউন্সেলর হিসেবেই পরিচিত ছিল।আমি শুনেছি যে তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে। তবে যে বাঁ যারা গুলি করেছে তারা দুষ্কৃতী।  আজ একে গুলি করেছে কাল আরও একজনকে করবে, তাই প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি দুষ্কৃতীকে ধরতে হবে। কেন এই আক্রমণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিজেপির পক্ষ থেকে তো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে, ওদের নেতারাই ত বলছে মেরে দাও, ভেঙ্গে দাও,তুলে দাও, তাই সুযোগ পেয়েছে এটা করেছে।’

পাশাপাশি, নোয়াপাড়া বিধানসভার বিধায়ক বিজেপির সুনিল সিং বলেন, ‘আমরা গুন্ডাগ্যারদি বিশ্বাস করি না, ওখানে তৃনমূলের নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বহুদিন ধরেই ঝামেলা- দ্বন্দ চলছে বলে আমার কাছে খবর আছে। দিন চারেক আগেই পুরসভার সকল কাউন্সেলরদের উপস্থিতিতেই ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সেলর এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সেলর যিনি ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁদেরকে চেয়ার তুলে মারতে গিয়েছিলেন এই চম্পা দাস। কে কোথায় সিমেন্ট বালি ফেলবে, কে কত কাটমানি খাবে সেই নিয়েই ওদের নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল, ওদের গিয়ে জিজ্ঞেস করুন ওরাই বলে দেবে কে গুলি করেছে।’

এদিকে, সবদিক খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। তবে,  এখনও পর্যন্ত কোনও দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

Exit mobile version