বহরমপুরে তৃণমূলের যুব সভাপতিকে (TMC Leader) লক্ষ্য করে গুলি চালালো দুষ্কৃতীরা। প্রায় দুই রাউন্ড গুলি চলেছে বলে জানা গিয়েছে (TMC Leader) । শনিবার মধ্যরাত মুর্শিদাবাদে বহরমপুরের কাশিমবাজার রিংরোড সংলগ্ন এলাকায় (TMC Leader) এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। যুব তৃণমূল সভাপতি (TMC Leader) পাপাই ঘোষের গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর ২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ (TMC Leader) । স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বহরমপুরে তৃণমূলের যুব সভাপতি পাপাই ঘোষ। রিংরোড সংলগ্ন এলাকায় দুষ্কৃতীরা তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলির শব্দ শুনে আশেপাশের বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে তারা। তবে রবিবার সকাল পর্যন্ত ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
বহরমপুর পুলিশ তৃণমূলের যুব সভাপতি পাপাই ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে জানা গিয়েছে। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক শত্রুতা রয়েছে নাকি পুরনো কোনও শত্রুতা থেকে এই হামলা হয়েছে কি না বলে জানার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে। কেন এই হামলা হয়েছে সেই বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছে না তৃণমূলের যুব সভাপতি পাপাই ঘোষ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি তো এলাকায় এমনি বাইক নিয়েও ঘুরি। কিন্তু, চারচাকাতে থাকার পরেও এমনটা হবে ভাবতে পারিনি। প্রথমে এক রাউন্ড, তারপর আরও এক রাউন্ড গুলি চালায়। বিকট শব্দও হয়। ড্রাইভার দ্রুত গাড়ি চালিয়ে ওখান থেকে বেরিয়ে যায়। শত্রু তো অনেক আছে। কারা করেছে বুঝতে পারছি না।”
তবে কংগ্রেস এই ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করেছে। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, “তৃণমূলের শাসনে তৃণমূল নেতার ওপরেই প্রকাশ্যে গুলি চলছে। এতে স্পষ্ট যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা কোন তলানিতে নেমেছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরেই গুলি চলেছে। তোলাবাজির টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তো ওদের মধ্যে সারাক্ষণ বিবাদ লেগেই থাকে।”