সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই বুধবার সকালে আরজি কর হাসপাতালে(Rg kar hospital) পৌঁছলেন দুই সিআইএসএফ(CISF) কর্তা। সকাল ৯টা নাগাদ ওই বাহিনীর ডিআইজি কে প্রতাপ সিংহ ও এসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক হাসপাতাল পরিদর্শনের জন্য যান। আরজি কর হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতেই বুধবার সকালে আরজি করে গিয়েছেন সিআইএসএফ আধিকারিকেরা।
হাসপাতালের অন্দরেই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় ৯ আগস্ট। এদিকে ১৪ আগস্টের রাতের স্মৃতি এখনও টাটকা। রাতের অন্ধকারে হাসপাতালের প্রতিবাদী চিকিৎসক ও ডাক্তারি পড়ুয়াদের উপর নির্মম হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর চলে হাসপাতালে। এর পর থেকেই নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছেন চিকিৎসক ও পড়ুয়ারা। সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় হাসপাতাল ও হস্টেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তুলে দেয়।
এদিন সকাল সিআইএসএফের একটি টিম পৌঁছে যায়। সঙ্গে ছিলেন ডিআইজিও। সেখানে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক বিষয় জানতে চান। এর পর সোজা হাসপাতালের প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবন অর্থাৎ প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে যান তিনি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সেখানে কলকাতা পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চলছে। হাসপাতালের কোথায় কত নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন, কীভাবে পাহারার কাজ চলে, ১৪ আগস্ট রাতের পর নিরাপত্তা বেড়েছে কিনা, এ সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা চলছে বলে খবর। বৈঠকের পর হাসপাতালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করেছিলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে সিআইএসএফ কিংবা সিআরপিএফ জওয়ানকে আরজি কর হাসপাতালে মোতায়েন করা যাবে। রেসিডেন্ট ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্য হস্টেলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন সলিসিটর জেনারেল।