মেদিনীপুরের ‘শাহি’ সভায় যাওয়ার পথে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন জানিয়ে দিলেন শীলভদ্র

খবর এইসময়, নিউজ ডেস্কঃ  তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে দু-দুবার বিধায়ক হয়েছেন তিনি।কিন্তু দলের সাংগঠনিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব টিম পিকের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তবে দলের তরফে কোনও সুরাহা তিনি পাননি।ফলে গত দুর্গা পুজার বিজয়া দশমীর এক অনুষ্ঠান থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি আর তৃণমূলের হয়ে আর নির্বাচনে লড়াই করবেন না।কিন্তু পরে দলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ত্যাগ করে অবশেষে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত।

শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় বিজেপি শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন তৃণমূলের টিকিটে জেতা দুইবারের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। আজ বিকেলেই মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সোদপুরের বাসিন্দা এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।

শুক্রবার তৃণমূল ছাড়ার পরে বিজেপি যোগের বিষয়ে মুখ খোলেননি ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। রাজনীতিতে বরাবরই মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শীলভদ্র। ২০১১ সালে তিনি ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। ২০১৭ সালের শেষের দিকে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। বিভিন্ন সময়ে শীলভদ্রের বিজেপি যোগের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও সর্বদাই তা উড়িয়ে দিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক।

বিজেপি যোগের বিষয়ে শীলভদ্র দত্ত বলেছেন, “বিজেপিতে যোগ দেব কিনা সেটা ভবিষ্যতে ঠিক করব।” তাহলে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে জল্পনার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “জল্পনা চলছে, চলুক। যা হওয়ার ভবিষ্যতে দেখা যাবে।” বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ইমেইল মারফৎ এবং নিয়ম অনুযায়ী শুক্রবার সকালে নিজের লেটারহেডে লেখা চিঠি লোক মারফৎপাঠিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করলেও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি শীলভদ্র। কারণ দেখিয়ে তিনি বলেছেন, “ব্যারাকপুরের মানুষ আমায় ভোট দিয়ে বিধায়ক করেছেন পাঁচ বছরের জন্য। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দায়িত্ব ছাড়তে পারি না।”

আর সেই মন্তব্যের ঘণ্টা কয়েকে মধ্যেই নিজের অবস্থান বদল করে ফেলেছেন ২০০৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া রাজনীতিবিদ। শুক্রবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই  মেদিনীপুর যাওয়ার পথে শিলভদ্র দত্ত নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ইচ্ছে আছে অমিত শাহের সভায় থেকে বিজেপিতে যোগ দেব।”

দীর্ঘদিন তৃণমূল করার পর আচমকা এই অবস্থান বদল কেন? এই প্রশ্নের জবাবে ব্যারাকপুরের বিধায়ক বলেছেন, “তৃণমূলের অন্দরে অপশাসন চলছে। যার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিজেপি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করছি। বিজেপি বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। কাজ করার জন্য অনেক বড় পরিসর পাওয়া যাবে বলে মনে করছি।”

Google news