প্রায় দেড় বছর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতার করেছিল ইডি (Calcutta High Court)। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হতে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র বা কালীঘাটের কাকুকে (Calcutta High Court)। সেই আশঙ্কা থেকেই আগেই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জামিনের আবেদন করলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। চলতি সপ্তাহে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court) শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে ২০২০ সালেরর ৩০মে গ্রেফতার করা হয়। তারপর বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতারের সময় তীব্র রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে। নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারের পরেই তাঁদের কেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এসএসকেএমে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে শিশুদের জন্য বরাদ্দ বেডে ভর্তি করা হয়। সেই নিয়েও একাধিক প্রশ্ন ওঠে। যদিও এই দেড় বছরের মধ্যে তাঁর হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর নমুনা পরীক্ষা করা নিয়েও একাধিক জটিলতার সৃষ্টি হয়।
ইডির গ্রেফতারির পরেও জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে ওই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান এখন স্থগিত রয়েছে। এসবের মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন। ইডির পর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতি একের পর এক অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জামিন পান। তারপর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন পান। অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিনের জন্য ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন।