Sandeep Ghosh: বিপদ বাড়ছে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক খোদ সু্প্রিম কোর্ট

আরজি করে সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh)দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন সন্দীপ কর। কিন্তু সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) আবেদন খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। সন্দীপ ঘোষের অভিযোগ, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং মূল যে ধর্ষণের মামলা সিবিআই তদন্ত করছে। পুরো বিষয়টি একসঙ্গে যুক্ত করছে সিবিআই। সেখানেই আপত্তি জানান তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, এই মহূর্তে এই মামলার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে সিবিআইকে আলাদা ভাবে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  প্রধান বিচারপতি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, হাইকোর্ট এটার প্রাথমিকভাবে তদন্ত করছে।  তদন্ত এগোচ্ছে। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেল চান এই মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দু’জনেরই পর্যবেক্ষণে জানান, তদন্তের গতিপ্রকৃতি কীভাবে এগোবে, সেটার নির্দেশ কখনই একজন অভিযুক্ত দিতে পারেন না। সেই কারণেই এই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তবে দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে স্টেটাস রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, সন্দীর ঘোষের বিপদ বাড়িয়ে দুর্নীতির একাধিক নথি তাঁর বাড়ি থেকে মিলিছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগপত্র পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, আরজি করে তরুণী হত্যা পরের দিন সেমিনার হলের পাশের ঘরের দেওয়াল ভাঙার অনুমতি সন্দীপ ঘোষ রাজ্যের পূর্ত বিভাগকে দিয়েছিলেন। সেই বিষয়ক নথি পাওয়া গিয়েছে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সম্মতি ছিল বলে জানা গিয়েছে। যার জেরে রাজ্য রাজনীতিতে অনেক জলঘোলা শুরু হয়েছে। কীভাবে আরজি করের সেমিনার হলের পাশের রুমের দেওয়াল ভাঙার অনুমতি স্বাস্থ্য দফতর দিতে পারে, সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, বুধবার আরজি করের তরুণী হত্যার মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি অসুস্থ থাকার কারণে শুনানি পিছিয়ে যায়।

Exit mobile version