সুপ্রিম কোর্টে হাসি ফুটল রাজ্যের! সিবিআই অপব্যবহার নিয়ে এল বিরাট আপডেট

সুপ্রিম কোর্টে ‘মিনি’ জয় পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সিবিআইয়ের অপব্যবহার নিয়ে যে মামলা দায়ের করেছিল মমতা সরকার, তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। নরেন্দ্র মোদী সরকারের সেই আপত্তি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার বিচারপতি ভূষণ আর গভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে মামলাটি বিচার করে দেখবে। আগামী ৩০ অগস্ট সেই দিনটা ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্য সরকার যে মামলা করেছে, সেটা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।

পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই তদন্তের ঢালাও ছাড়পত্র বা ‘জেনারেল কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করার পরেও সিবিআই রাজ্যের অনুমতি ছাড়া একের পর এক মামলায় এফআইআর করতে শুরু করায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল রাজ্য সরকার। গত তিন বছর ধরে এই মামলা শীর্ষ আদালতে ঝুলে রয়েছে। রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। আগের শুনানিতে তিনি জানান, রাজ্যের অনুমতি বা ‘জেনারেল কনসেন্ট’ ছাড়া সিবিআই কোনও মামলায় তদন্ত করতে পারে না। রাজ্যে ঢোকার আগে তাদের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। না হলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এর প্রভাব পড়তে পারে বলে জানান তিনি। অভিযোগ, সিবিআই কোনও মামলায় ঢুকলে তার সূত্র ধরে ইডিও ঢুকে পড়ছে। এই পরিস্থিতির বদল হওয়া দরকার

রাজ্যের পাল্টা যুক্তি দিয়েছিলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। তিনি জানান, সিবিআই কেন্দ্রের অধীন নয়। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা। ফলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা করায় এই মামলা গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়। সলিসিটর জেনারেল বলেছিলেন, ‘‘সিবিআই একটি স্বাধীন সংস্থা। কেন্দ্র তাদের নিয়ন্ত্রণ করে না। কেন্দ্র কোনও এফআইআর দায়ের করে না। এই মামলা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে না করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে করা হয়েছে।’’ আদালতে এই মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগও তুলেছেন তিনি। বলেন, ‘‘এর আগে একই বিষয়ে অন্য দু’টি মামলা করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। এই কোর্টে সেই তথ্য গোপন করা হয়েছিল। কী ভাবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে তথ্য গোপন করা যায়? এটাই মামলা খারিজের অন্যতম কারণ হতে পারে।’’

Exit mobile version