এমন সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) বাংলায় আগে কবে হয়েছে, তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। কোথাও কলেজ চত্বরে পুজো (Saraswati Puja) হচ্ছে পুলিশের পাহারায়, আবার কোথাও প্রাথমিক স্কুলের সরস্বতী পুজোয় (Saraswati Puja) আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে বাহিনী। এই পরিস্থিতি ঘিরে (Saraswati Puja) রাজনৈতিক বিতর্ক তীব্র হয়েছে।
সরস্বতী পুজো নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “হিন্দুরা অবশেষে জেগে উঠেছেন। ঐক্যবদ্ধতার অভাবের কারণে সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যে হুঁশিয়ারি আসছিল, তা তাঁরা বুঝতে পেরেছেন।” তিনি দাবি করেছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের খেজুরি মক্তব প্রাইমারি স্কুলে ১৪০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার সরস্বতী পুজো হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী আরও দাবি করেছেন, নদিয়ার হরিণঘাটার নগরউখড়া দাসপোলডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোর আয়োজন আটকাতে চেয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন মণ্ডল। তবে এলাকাবাসী একজোট হতেই সেই হুমকি কার্যত উবে যায়, নির্বিঘ্নেই সরস্বতী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, “একতাই শক্তি। এক থাকলে সুরক্ষিত থাকব, বিভাজিত হলে রক্ষা নেই।”
বিজেপির তরফে সংসদেও বিষয়টি উঠেছে। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “সরস্বতী পুজোয় পুলিশ পাহারা লজ্জার বিষয়।” তবে তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “পুজো করতে বাধা দেওয়া হয়নি। বিজেপি পরিকল্পিতভাবে বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এদিকে, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম কটাক্ষ করে বলেছেন, “বাগদেবী কোনও দিন কল্পনাও করেননি যে তাঁর পুজো পুলিশের পাহারায় হবে। এখন ছাত্র সংসদের রাজনীতি নয়, দখলদারির রাজনীতি চলছে।”