Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারীর ‘চ‌্যাংদোলা’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি সংখ্যালঘু নেতা-কর্মীরা, দলের ভিতর বিক্ষোভ

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary)মুসলিম বিধায়কদের ‘চ‌্যাংদোলা’ করে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার মন্তব্যটি নিয়ে বিজেপির মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তার এই মন্তব্যে দলের সংখ্যালঘু নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন, এবং এমন মন্তব্য দলেরই ক্ষতি করতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) সম্প্রতি বলেছেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে, যারা তৃণমূলের মুসলিম বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হবে, তাদের চ‌্যাংদোলা করে রাস্তায় ফেলে দেব।” এই বক্তব্যটির পর থেকেই বিজেপির সংখ্যালঘু শাখার নেতা-কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, শুভেন্দুর এমন উক্তি দলের ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং সংখ্যালঘু ভোটের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বিজেপির বসিরহাটের স্বরূপনগরের মণ্ডল সভাপতি তারক সাহা তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিরোধী দলনেতা বলছেন, সংখ্যালঘু ভোটের প্রয়োজন নেই। এমন মন্তব্য কোনও রাজনৈতিক নেতার পক্ষে উপযুক্ত নয়। তাহলে কেন আমাদের দলীয় সংখ্যালঘু কর্মীরা এতদিন পরিশ্রম করেছেন?” একইভাবে, অন্য এক মণ্ডল সভাপতি হাসনায়ক হোসেন মণ্ডলও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শুভেন্দু বাবুর ভাষা দেখে মনে হচ্ছে, তিনি বিজেপিকে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন না। গত লোকসভা নির্বাচনে দলের আসন সংখ্যা ১৮ থেকে ১২-এ নেমে যাওয়ার জন্য তিনি (শুভেন্দু) দায়ী।”

এদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) শুভেন্দুর মন্তব্যকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “এ ধরনের কথা বলা যায় না। বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চা তুলে দিক। মোদি ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ বলছেন, আর শুভেন্দু এই ধরনের বিভাজনমূলক মন্তব্য করছেন। এই বিরোধিতা এখন বিরোধী দলের মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।”

এছাড়া, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও শুভেন্দুর এই মন্তব্যকে কাঙ্খিত না বলে জানিয়েছেন, এবং মন্তব্য করেছেন যে, এই ধরনের ভাষা দলকে কোনোভাবেই সাহায্য করবে না। তিনি আরো বলেন, “শুভেন্দুর ভাষা দলের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে, যা দলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।”

এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির নেতৃত্ব এই বিষয়টি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চাইছেন, তবে দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হওয়া এভাবে বিরোধী দলের নেতার মন্তব্যের ফলে দলের ভিতরে বিক্ষোভের সৃষ্টি হওয়া, তা বিজেপির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Exit mobile version