আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ কেলেঙ্কারির মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) বিরুদ্ধে চার্জগঠনে অনুমতি দিল স্বাস্থ্য ভবন। সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি তুলে ধরার পর, শেষমেশ সিবিআই-কে এনওসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Sandeep Ghosh) । বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানির ২৪ ঘণ্টা আগে এই অনুমতি মেলে (Sandeep Ghosh)।
গত বছরের নভেম্বরেই আরজি কর মামলায় চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। তবে স্বাস্থ্য ভবনের অনুমতি না মেলায় চার্জগঠন আটকে ছিল। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে তুলে ধরেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বিরোধী চিকিৎসক সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিল, অনুমতি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।
বারবার আবেদনেও ফল না হওয়ায় আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই মামলায় দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। তার আগেই সোমবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিবিআই-কে এনওসি দেওয়া হয়। বিচারপতি ঘোষ সাতদিনের মধ্যে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে চার্জগঠন এবং দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন। আরজি কর-কাণ্ডে দুটি পৃথক মামলায় গ্রেফতার হন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। একটি খুন-ধর্ষণ মামলায় তিনি জামিন পেলেও আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এখনও জেলবন্দি রয়েছেন।
এনওসি দেওয়ার পর সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জগঠন এবং শুনানি শুরু হওয়ার আর কোনও বাধা নেই। দ্রুত শুনানি হওয়ায় মামলার নিষ্পত্তির পথ মসৃণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, বিষয়টি অযথা দীর্ঘায়িত করা হয়েছে। বিচার বিভাগের সক্রিয়তায় অবশেষে নতুন গতি পেল আরজি কর-কাণ্ড।
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয়কে শিয়ালদহ আদাল দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার ও সিবিআই। কারণ তারা সঞ্জয়ের ফাঁসি চায়। যদিও আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা হাইকোর্টে জানিয়েছেন, তাঁরা এখনই আরজি করের দোষী সঞ্জয় ফাঁসি চায় না।