প্রনব বিশ্বাস,কলকাতা: আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে কোনও ধরনের কারচুপি ঠেকাতে এবং গণনার সময় ভিন রাজ্যের কর্মীদের নিয়োগের দাবিতে সরব হল তেজস জনকল্যাণ পার্টি (Tejas Janakalyan Party)। গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দলের সভানেত্রী রুবি গুপ্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। এতে তিনি দাবী করেছেন, নির্বাচনের ফলাফল সঠিকভাবে প্রতিফলিত করার জন্য গণনা কেন্দ্রে ভিন রাজ্যের কর্মীদের নিয়োগ করা হোক।
তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গণনা কেন্দ্রে কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের (CEO) এখতিয়ারভুক্ত। এই ব্যাপারে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে। তেজস জনকল্যাণ পার্টি আশ্বস্ত করেছে, তারা এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে এই স্মারকলিপি সিইও দফতরে পাঠাবে।
রুবি গুপ্ত এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেছেন, “যখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানাতে চেয়েছিলাম, তখন আমাদের জানানো হয়নি। যদি তখনই বিষয়টি জানানো হতো, তাহলে সময় নষ্ট না করে সরাসরি সিইও দফতরে যেতাম।” তিনি আরও বলেন, গণনা কেন্দ্রে সরকারী কর্মচারী বা সরকারী দপ্তরের কর্মীদের নিয়োগ না হওয়া উচিত, যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
‘তেজস জনকল্যাণ পার্টি’ নতুন একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে আত্মপ্রকাশ করেছে। দলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। রুবি গুপ্ত জানান, “আমাদের দলের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া এবং সাধারণ মানুষকে স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভর করতে কাজ করা।”
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তেজস জনকল্যাণ পার্টি রাজ্যের ২৯৪ কেন্দ্রেই প্রার্থী দেবে, এমন ঘোষণা দিয়েছেন দলের সভানেত্রী। তিনি আরও জানান, দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্তমান প্রকল্পগুলির বিকল্প হিসেবে গণেশ ভাণ্ডার, মাতৃ ভাণ্ডার প্রবর্তন করবে।
এছাড়াও, এই দলটি জাতি, ধর্ম, এবং বিভাজনমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকলেও সমাজের সবার জন্য এক হয়ে কাজ করতে চায়। “আমরা কোনও রাজনৈতিক কুৎসা বা বিভাজন চাই না, বরং সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে চাই,” বলেছেন রুবি গুপ্ত।
এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ রাজ্য রাজনীতিতে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির উন্মেষ ঘটিয়েছে, এবং তেজস জনকল্যাণ পার্টি রাজ্যের সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় তাদের কৌশল প্রণয়ন করতে বদ্ধপরিকর।