কলকাতার ঠাকুরপুকুরের (Deadbody) ডায়মন্ড পার্কের অভিজাত আবাসনে গলার নলি কাটা অবস্থায় এক মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই মহিলা মাত্র একদিন আগেই বাড়িটি (Deadbody) ভাড়া নিয়েছিলেন। তাঁর পরিচয় এখনও নিশ্চিত নয় (Deadbody) । পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার দেহে (Deadbody) ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার বয়স আনুমানিক ৩৪ থেকে ৩৫ বছর। তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন। তবে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও তথ্য মেলেনি। পুলিশ বাড়ির মালিক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পাশাপাশি, খুনের কারণ জানতে তদন্ত চালাচ্ছেন আধিকারিকরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মহিলা এলাকায় একেবারে নতুন ছিলেন। তাঁরা তাঁর নাম বা পরিচয় সম্পর্কে অবগত নন। এক প্রতিবেশী বলেন, “বাড়ির বাইরে চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখি মার্ডার হয়েছে। আগে এলাকায় সবাই সবাইকে চিনত। এখন এত বড় এলাকা, কে ভাড়া আসছে বা যাচ্ছে, কিছুই জানা যায় না।”
এক স্থানীয় লন্ড্রিকর্মী জানিয়েছেন, তিনি নিজেই ওই মহিলাকে বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীও উপস্থিত ছিলেন। ভাড়া নেওয়ার সময় আধার কার্ডও দেখানো হয়েছিল। তিনি জানান, “মহিলা বলেছিলেন, ইএসআই হাসপাতালে আয়ার কাজ করেন। বাড়ির মালিক আমাকে ডেকে আনেন, তখন দেখি মেঝেতে দেহ পড়ে আছে। মাথার পেছন থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। তবে তাঁর স্বামী কোথায় গিয়েছেন, তা কেউ জানে না।”
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার পরিচয় নিশ্চিত হলেই খুনের কারণ আরও স্পষ্ট হবে। তিনি যেভাবে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন এবং ভাড়ার সময় দেওয়া তথ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, মহিলার স্বামীর অবস্থানও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, অপরিচিত মানুষ ভাড়া নিতে আসলে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।