ম্যাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে ক্লাসরুমের মধ্যেই প্রথম বর্ষের ছাত্রের হাতে সিঁদুর পরেছিলেন অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায় (Kolkata)। সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় শিক্ষামহলে (Kolkata)। নানা বিতর্কের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে কঠোর শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নিতে চলেছে (Kolkata)। তবে সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন (Kolkata)।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। কারণ, তদন্ত কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে। অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ঘটনাটি একটি “সাইকোড্রামা” বা নাটকের অংশ ছিল। তিনি অভিযোগ করেছেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনার একটি অংশ ভাইরাল করা হয়েছে, যা অত্যন্ত নোংরা কাজ। এতে আমার চরিত্র হনন করা হচ্ছে এবং ছাত্রদেরও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।”
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি একেবারেই ভিন্ন মত পোষণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, এটি কোনও নাটক, সাইকোড্রামা বা কারিকুলামের অংশ ছিল না। এটি নিছকই একটি ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড, যা ক্লাসরুমের পরিবেশের সঙ্গে সম্পূর্ণ বেমানান।”
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অধ্যাপিকা নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন ‘অ্যাপ্লায়েড সাইকোড্রামা’ কী এবং কেন এটি করা হয়েছিল। তবে প্রথমে এটিকে নাটকের অংশ বললেও পরে তিনি সাইকোড্রামার অংশ বলায় নতুন ধোঁয়াশা তৈরি হয়। এদিকে, বিতর্ক বাড়তেই তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ করেছেন।
ঘটনাটি সামনে আসার পর থেকেই শিক্ষাবিদদের একাংশ কড়া সমালোচনা করেছেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে এমন কর্মকাণ্ড আদৌ গ্রহণযোগ্য কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এখন দেখার, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়।