বাঁকুড়ার (Bankura) বারিকুলের বাগডুবি ও ঝাড়গ্রামের কাঁকড়াঝোড় জঙ্গলে শুক্রবার মিলেছিল বাঘের পায়ের ছাপ। এবার নতুন করে বাঁকুড়ার (Bankura) পি মোড় রেঞ্জের পড়্যাশোল এলাকায় সেই ছাপ দেখতে পাওয়া গেল। জঙ্গলের রাস্তায় এই পায়ের ছাপ (Bankura) নজরে আসতেই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
পড়্যাশোল এলাকায় পায়ের ছাপ মেলায় বন দফতর মনে করছে, বাঘটি হয়তো সারেঙ্গা বা লালগড়ের দিকে এগোচ্ছে। বছর পাঁচেক আগে লালগড় এলাকায় ঢুকে পড়া একটি বাঘকে স্থানীয়রা পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল। এবার সেই একই দিকেই বাঘের গতিপথ লক্ষ্য করা যাওয়ায় বন দফতর সতর্ক।
কাঁকড়াঝোড় ও বারিকুলের বাগডুবি জঙ্গলের পর পড়্যাশোল এলাকাতেও বাঘের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ায়, জঙ্গলপথে বাঘটি লালগড়ের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই তথ্য সামনে আসতেই স্থানীয় জঙ্গলগুলিতে নজরদারি আরও বাড়িয়েছে বন দফতর।
বাঘের উপস্থিতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। পড়্যাশোল এলাকার গ্রামবাসীদের অনেকেই জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন। বাঘের দেখা মেলার আশঙ্কায় ফাঁকা হয়ে পড়ছে জঙ্গল লাগোয়া রাস্তা।
বন দফতর এখন বাঘের অবস্থান শনাক্তে বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করছে। বিশেষজ্ঞদের একটি দল পায়ের ছাপের বিশ্লেষণ করছে, এবং সম্ভাব্য গতিপথ চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। বাঘের উপস্থিতি শুধু আতঙ্ক ছড়াচ্ছে না, সেইসঙ্গে বনাঞ্চলের পরিবেশ ও প্রাণীকুল নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। বন দফতর বাঘের সুরক্ষার পাশাপাশি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর।
কিছুদিন আগেই গত বছরের শেষ দিকে জিনাত নামের একটি বাঘিনী চলে আসে ঝাড়খণ্ডে। তারপর ঝাড়গ্রাম হয়ে পুরুলিয়া যায়। পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়া যায় বাঘিনী। বনদফতরের তরফে বার বার ফাঁদ পাতা হয়। বার বার সেই ফাঁদ এড়িয়ে বার বার বাঘিনী এগিয়ে যায়। পরে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে ঘুমের গুলিতে বাঘ কাবু হয়ে যায়। তারপর তাকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় বেশ কিছুদিন রেখে দেওয়া হয়। তারপর তাকে সিমলিপালের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, সুন্দরবনের মৌপিঠের একাধিক গ্রামে বার বার বাঘ ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।