পর্যটন (Darjeeling) সফর যে এমন মর্মান্তিক পরিণতি বয়ে আনবে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি কেউ। দার্জিলিং (Darjeeling) বেড়াতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কলকাতার বাসিন্দা অমিয়নাথ ঘোষের। পরিবার ও বন্ধুরা এখনও এই আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না (Darjeeling) ।Darjeeling: ঘুরতে যাওয়াই কাল হল! দার্জিলিংয়ে ঘুরতে প্রথম দিনেই প্রাণ হারালেন পর্যটক
অমিয়নাথ ঘোষ গত ২৯ জানুয়ারি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে পাহাড় ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তিনটি পরিবার মিলিয়ে মোট ৯ জনের একটি দল প্রথমে কালিম্পং ঘুরে দার্জিলিং পৌঁছায়। সারাদিন শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার পর রাতে হোটেলে ফেরেন তাঁরা।
রূপম সরকার, যিনি অমিয়নাথবাবুর বন্ধু, জানান, “সবাই যখন ঘুমিয়ে ছিল, তখন হঠাৎ কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ পাই। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে গিয়ে দেখি, অমিয় অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে আছেন। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। দ্রুত হোটেল রিসেপশনে ফোন করে গাড়ির ব্যবস্থা করি এবং হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছিল।”
অমিয়নাথবাবুর স্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন এবং একবার অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। প্রবল ঠান্ডার কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে বলে মনে করছেন পরিবার ও বন্ধুরা। সম্প্রতি পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে পর্যটকদের হৃদরোগে মৃত্যুর একাধিক ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগেই ধোত্রে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান এক পর্যটক, সান্দাকফুতেও প্রাণ হারান দমদমের এক যুবতী। এবার দার্জিলিংয়ে অমিয়নাথ ঘোষের মৃত্যু সেই তালিকায় নতুন সংযোজন। সান্দাকফু ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার পরেই এবার থেকে সান্দাকফুতে পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
অমিয়নাথবাবুর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কলকাতা থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা দার্জিলিং পৌঁছানোর পর তাঁদের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে। এক আনন্দযাত্রা যে এমন ট্র্যাজেডিতে রূপ নেবে, তা কেউই কল্পনা করেননি। গত বছরেই কালিম্পংয়ে দুই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল। দুই ক্ষেত্রেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হয়ে পর্যটকের মৃত্যু হয়।