মার্কিন সেনাবাহিনী সিরিয়ায় আল-কায়েদার এক সদস্যের বিরুদ্ধে বিমান হামলা (US Airstrike) চালিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই টুইট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হামলায় নিহত জঙ্গি ঐ এলাকা জুড়ে আল-কায়েদার সঙ্গে কাজ করছিল।
এই উপলক্ষে সেন্টকমের কমান্ডার জেনারেল মাইকেল কুরিলা অভিযানের (US Airstrike) সাফল্যের জন্য মার্কিন সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা ও আমাদের মিত্রদের হুমকি দেওয়া আরেক জিহাদীকে আমরা বিচারের আওতায় এনেছি। সিরিয়ায় সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের চলমান অভিযানের অংশ ছিল এই হামলা।
JUST IN: President Trump announces that U.S. forces have taken out an Al-Qaeda leader in Syria.
“US forces conducted a precision airstrike against a member of al-Qaeda in Syria this weekend. The terrorist leader was working with al-Qaeda across the region.” pic.twitter.com/Dk2SVkL4UP
— George (@BehizyTweets) February 18, 2025
আমেরিকার উদ্দেশ্য কী ছিল?
মার্কিন হামলার পিছনে প্রধান লক্ষ্য ছিল আল-কায়েদার একজন প্রধান সদস্য, যে এই অঞ্চল জুড়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। মার্কিন সেনাবাহিনী কোথায় হামলা হয়েছে তা জানায়নি। তবে, মার্কিন সেনাবাহিনী আল-কায়েদার অভিযানকে (US Airstrike) সফলভাবে সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় করেছে। মার্কিন সেনাবাহিনী সিরিয়া এবং অন্যান্য সন্ত্রাস-প্রভাবিত অঞ্চলে ড্রোন হামলা ও বিমান হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে চলেছে।
সিরিয়ায় মার্কিন অভিযানের ইতিহাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়া ও ইরাকে সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে-
২০২২- শীর্ষ আইএসআইএস নেতা আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অভিযানে নিহত হন।
২০২৩: ড্রোন হামলায় আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
২০২৪: সম্প্রতি হিজবুল্লাহ এবং অন্যান্য মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলিতে হামলা চালানো হয়।
সাম্প্রতিক হামলাগুলি ইঙ্গিত দেয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী নীতি অনুসরণ করছে।
এই হামলার পিছনে কারণ
আল-কায়েদা (US Airstrike) এখনও মধ্যপ্রাচ্যে সক্রিয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য একটি বড় হুমকি হিসাবে রয়ে গেছে। সিরিয়া ও ইরাকের দুর্বল সরকারের সুযোগ নিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি তাদের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে “সহনশীলতা নয়” নীতি গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে তারা যে কোনও উদীয়মান হুমকি নির্মূল করার কৌশল নিয়ে কাজ করছে।