Nadia: দলের উত্তরীয় পরে তৃণমূলের কাছ থেকে সম্বর্ধনা! ভিডিও ভাইরাল হতেই বিপাকে BDO

নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের বিডিও জয়দেব মণ্ডলের উপস্থিতি তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখার একটি বনভোজন অনুষ্ঠানে বিতর্কের  জন্ম দিয়েছে। বিরোধীদের দাবি (Nadia), প্রশাসনিক আধিকারিকদের শাসকদলের হয়ে কাজ করার প্রবণতা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। বিডিও-এর (Nadia) এই ভিডিও আসতেই একাধিক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বুধবার আনুলিয়ায় তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের উদ্যোগে একটি বনভোজনের আয়োজন করা হয়। মঞ্চে টাঙানো ব্যানারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। পাশাপাশি, ব্যানারে স্পষ্ট লেখা ছিল, “ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বনভোজন।” সেই মঞ্চেই দেখা যায় রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের বিডিও জয়দেব মণ্ডলকে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় তৃণমূল নেতারা তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন।

এই ঘটনা সামনে আসতেই সরব হয় বিজেপি। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে সরকারি আধিকারিকরা প্রশাসনিক শক্তি ও সরকারি তহবিলের অপব্যবহার করছেন। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “বিডিওরা এখন তৃণমূলের নির্দেশেই কাজ করছেন। শাসকদলের অনুষ্ঠানে তাঁদের উপস্থিতি সেটাই প্রমাণ করে। প্রশাসনিক দায়িত্বের সঙ্গে এ ধরনের পক্ষপাতিত্ব কখনও মেনে নেওয়া যায় না।” জয়দেব মণ্ডল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, “পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সঙ্গে একটি কাজ সেরে ফিরছিলাম। তখন প্রদীপবাবু (পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি) আমাকে ছোট একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। তাই আর না করিনি। তবে জানতাম না যে এটি রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান।”

বিডিওর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ ঘোষও। তিনি বলেন, “আমি ওঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, কিন্তু সেটা রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বলে জানাইনি। এর পেছনে কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।” তবে বিরোধীদের প্রশ্ন, শাসকদলের নেতার অনুরোধে প্রশাসনিক আধিকারিক যদি তৃণমূলের মঞ্চে উঠতেই পারেন, তবে তা কি পক্ষপাতিত্বের প্রমাণ নয়? বিরোধীদের দাবি, এ ঘটনা প্রমাণ করে প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা রক্ষায় রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা ও সরকারি আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে এই ঘটনা।

Exit mobile version