বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধের মাঝে ভাটপাড়ায় শুটআউট(Shootout)! অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপি যুব নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে সাতসকালে চলল গুলি। আহত হয়েছেন দুজন। এক ব্যক্তির কানে গুলি লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ভাটপাড়ায়। আহতকে দেখতে হাসপাতালে যান অর্জুন সিং। তাঁর অভিযোগ, মোট ৬ রাউন্ড গুলি চলেছে। হামলাকারীরা তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গী। অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এনিয়ে পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ।
বুধবার সকালে ভাটপাড়ার যুব বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকায় তিনি বেঁচে যান। ঘটনাস্থলের কাছেই এক ব্যক্তির কানে লাগে একটি গুলি। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। রবি সিং নামে ওই যুবকের দ্রুত উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সঙ্গে ছিলেন ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংও। এই হামলার নেপথ্যে তিনি সম্পূর্ণত দায়ী করেছেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ককে। অভিযোগ, টিটুয়া ও সোনুয়া নামে দুই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী, যাঁরা সোমনাথ শ্যামের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, তাদেরই কাজ এটা। তাঁর আরও অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এভাবে প্রকাশ্যে গুলি চালানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “গাড়ি নিয়ে কাঁকিনাড়া থেকে বেরিয়েছে। সেই সময় সোমনাথ শ্যাম ও তরুণ সাউ তাঁদের নির্দেশে এই গুলি চালানো হয়েছে। চালকের মাথার পাশ দিয়ে গুলি চালিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।” পাল্টা এর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কেউ মারা গেলেই বিজেপি কর্মী হয়ে যায়। সাধারণ মানুষকে বিজেপি মারছে। ওরাই অরাজকতা করছে। এখানে বিজেপি নেই দেখুন বাজার হাট সব খোলা রয়েছে। জোর করে মানুষকে আটকানো যায় না। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মানুষকে পাশে পাওয়া যায় না।”