মঙ্গলবার সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেনি সিবিআই। যার জেরে সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) জেল হেফাজত হয়। বর্তমানে সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। সন্দীপ ঘোষের জন্য প্রেসিডেন্সি জেলের ভিতর আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্সি জেলের প্রভাবশালীদের ওয়ার্ডে সন্দীপ ঘোষকে রাখা হয়নি। সন্দীপ ঘোষের জায়গা হয়েছে ১০ নম্বর সেলের ৪৬ নম্বর লকআপে।
আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) প্রতিবেশী সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। তবে সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) ওপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য দুই জন নিরাপত্তা রক্ষীকে নিয়োগ করা হয়েছে। অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে রাখা হয়েছে পয়লা বাইশ ওয়ার্ডে। অন্যদিকে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিবেশী সঞ্জয় রায়।
সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। সন্দীপ ঘোষকে পেশ করার সময় আদালত চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে। সন্দীপ ঘোষকে যখন আদালত চত্বরে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন চোর চোর স্লোগান ওঠে। আদালত থেকে বের হওয়ার সময় প্রিজন ভ্যানের সামনে সন্দীপ ঘোষকে একজন চটি ছুঁড়ে মারে। আদালত চত্বরে এদিন দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান মহিলা আইনজীবীরা। তবে সন্দীপ ঘোষ সহ গ্রেফতার হওয়া চারজনকে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে চায়নি।
সিবিআই কেন সন্দীপ ঘোষ ও বাকিদের নিজেদের হেফাজতে চাইল না, এই নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলা। অন্যদিকে, বাংলার সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দেয়, তবে কি সিবিআই দায় সারা তদন্ত করছে। কারণ, শিয়ালদহ কোর্টে যখন সঞ্জয় রায়কে তোলা হয়, সেই সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। যার জেরে বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। বিচারপতি এই তদন্তে কতটা সিরিয়াস সিবিআই সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সিবিআইয়ের আইনজীবীকে ১০ মিনিটের মধ্যে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন। তার কয়েকদিনের মধ্যে সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে চাইল না সিবিআই, যার জেরে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে।