বাংলার জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হলে, দেশ জুড়ে বড় ধরনের আন্দোলনে নামবেন চিকিৎসকরা। সারা দেশ থেকে ভিডিও বার্তায় এমনি হুমকি দিচ্ছেন চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest)। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে সরকার অনড় অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এই অবস্থানের তীব্র বিরোধিতা করেছেন দেশব্যাপী চিকিৎসক মহল। রেসিডেন্ট এবং জুনিয়র ডাক্তারদের জয়েন্ট অ্যাকশন ফোরাম এই বিষয়ে (Junior Doctors protest)) চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ভুবনেশ্বর এবং বেঙ্গালুরু থেকে এদিন ভিডিয়ো বিবৃতি জারি করে চরম হুঁশিয়ারি শুক্রবার দেওয়া হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, বাংলার জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হলে দেশব্যাপী তাঁরা বড় আন্দোলনে নামা হবে। সেটা কর্মবিরতি হতে পারে বা হরতাল হতে পারে।
শুক্রবার ভুবনেশ্বর এবং বেঙ্গালুরু থেকে এদিন ভিডিয়ো বিবৃতি জারি করা হয় রেসিডেন্ট এবং জুনিয়র ডাক্তারদের জয়েন্ট অ্যাকশন ফোরামের তরফে। সেখানে জানানো হয়েছে, বাংলায় যে জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctors Protest) এবং আবাসিক ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন, তাঁদের একজনের বিরুদ্ধেও যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে তারা কঠিন অবস্থান নেবে। তা দেশব্যাপী কর্মবিরতি হতে পারে বা হরতাল হতে। সেই ভিডিওয়ের মুখ্যমন্ত্রী ও বাংলার প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি মেনে সেই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং করতে অস্বীকার করেছে সরকার। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ভিডিও বার্তায় করা হয়েছে। সংগঠনের সদস্য প্রজ্ঞা অনির্বাণ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলন বর্তমানে সারা ভারতব্যাপী বিচারের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে, তাকে বিরোধী কন্ঠ রোধ করার মরিয়া চেষ্টা হিসেবে দেখা হবে এবং দেশব্যাপী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে।
জানা গিয়েছে, রেসিডেন্ট জুনিয়র ডক্টর্স জয়েন্ট অ্যাকশন ফোরামই নয় দেশব্যাপী বিভিন্ন সংগঠন কলকাতায় জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশব্যাপী জুনিয় চিকিৎসক নয়, সিনিয়র চিকিৎসকরাও এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। রাজ্যের সরকারকে চাপে ফেলতে দেশব্যাপী সিনিয়র চিকিৎসকরা বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে বলে জানা গিয়েছে।