সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ আশিষ পাণ্ডেকে আজকে (RG Kar) সিবিআই আদালতে তোলা হল। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবী আশিষ পাণ্ডের বিরুদ্ধে (RG Kar)বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। (RG Kar) অভিযোগ, অযোগ্য হওয়ার পরেও সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে আশিষ পাণ্ডে আরজি করের (RG Kar) হাউস স্টাফ হয়েছিলেন। চিকিৎসক (RG Kar) ও ছাত্রদের হুমকি দিতেন আশিস পাণ্ডে। সিনিয়র ডাক্তাদের প্রত্যন্ত এলাকায় বদলির হুমকি দিতেন। হাউস স্টাফ নিয়োগের জন্য কাটমানি নিতেন আশিস পাণ্ডে বলে সিবিআই অভিযোগ করেছে।
পাশাপাশি সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, আশিষ পাণ্ডের মোবাইল থেকে বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আশিষ পাণ্ডের মোবাইল ক্লোন করার অনুমতি সিবিআইয়ের তরফে চাওয়া হয়। আদালত আশিষ পাণ্ডেকে তিন দিনের সিবিআইয়ের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিবিআই আরজি করে টিএমসিপির ইউনিট আশিষ পাণ্ডেকে গ্রেফতার করে। আশিষ পাণ্ডের বিরুদ্ধে আরজি করের দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগের অভিযোগ ছিল। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ আরজি করে যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল, তা আশিষ পাণ্ডের বিরুদ্ধে। আরজি করের ছাত্র-ছাত্রী বা জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছ টাকা নিজে নিতেন না। আশিষ পাণ্ডের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে সেই টাকা আদায় করতেন।
অন্যদিকে, আরজি করে একটি বিশেষ কমিটি থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল। সেখানে বেশিরভাগ অভিযোগ আশিষ পাণ্ডের বিরুদ্ধে ছিল। থ্রেট কালচারের তদন্তের শুনানির সময় ২৫ সেপ্টেম্বর আশিষ পাণ্ডে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু আশিষ পাণ্ডেকে দেখেই জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন। আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের একাংশ তাঁকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন আশিষ পাণ্ডে।
আশিষ পাণ্ডের গ্রেফতারের বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, সিবিআইয়ের এই সিদ্ধান্তে খুশি। থ্রেট কালচারের একটা বড় মাথা ছিল আশিষ পাণ্ডে। আগে যখন জুনিয়র চিকিৎসকরা আরজি করের অভ্যন্তরে আন্দোলন করেছিলেন, সেই সময় আশিষ পাণ্ডের নাম উঠে এসেছিল। নানাভাবে সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা ভয় দেখিয়ে সেই আন্দোলনকে উঠিয়ে দেন। তারপর থেকে আশিষ পাণ্ডের অত্যাচার মাত্রা ছাড়া হয়ে ওঠে। ফেল করিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ আশিষ পাণ্ডের বিরুদ্ধে রয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা মনে করছেন, আশিষ পাণ্ডের মতো আরও কয়েকটা বড় মাথা রয়েছে, যাদের দ্রুত গ্রেফতার করা প্রয়োজন।