তিন দিনের দীঘা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীঘায় জগন্নাথ দেবের (Jagannath Temple)মন্দিরের কাজ কতদূর এগোয়, তাও খতিয়ে দেখার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর (Jagannath Temple)। এছাড়াও একাধিক কর্মসূচি ছিল। বুধবারই দীঘায় সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি জানিয়ে দেন, ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন হবে।
বুধবার দীঘা থেকে করা সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ “এখনও পর্যন্ত ২৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আরও কিছু খরচ করতে হবে। একটি ট্রাস্টি তৈরি করা হয়েছে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে। বছর কয়েক আগে দিঘায় ঘুরতে ঘুরতে সিদ্ধান্ত নিই সমুদ্র সৈকতে একটি মন্দির করব। পুরীর মন্দিরের মতোই উচ্চতা করব ঠিক করি। আজ তিন- চার বছর সময় লেগেছে এত সুন্দর মন্দির তৈরি হয়েছে। আমরা তুলনা করব না। তবে এখানে জায়গাটা বেশি। সব আলাদা আলাদা ঘর থাকছে। এখানে পুরীর খাজার মত বাংলার গজা, গুঁজিয়া থাকবে।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুরীর মতো দীঘার মন্দিরেও ধ্বজা থাকবে। এখানেও মহাসমারোহে রথযাত্রা হবে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে যে ট্রাস্টি তৈরি হয়েছে তাতে ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য থাকছে বলেও তিনি। তবে তিনি সেই ট্রাস্টির সদস্য নয়। মুখ্যমন্ত্রী এই মন্দিরের ভলেন্টিয়ার হিসাবে কাজ করবেন। কারা থাকছেন এই ট্রাস্টে?
জানা গিয়েছে, এই ট্রাস্টে থাকছেন, মুখ্যসচিব, জেলাশাসক, সনাতন ধর্মের সভাধিপতি, ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি, পুরোহিতরা থাকছেন ট্রাস্টি বোর্ডে। নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যসচিব। তবে কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য বা নেতা এই ট্রাস্টে থাকছেন না বলেই জানা গিয়েছে।
দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিশেষত্ব হিসেবে জানা গিয়েছে, মন্দিরের প্রবেশদ্বারে থাকবে চৈতন্যদেবের মূর্তি। মন্দিরের আশপাশ সনাতন ধর্মের লোকজনের দোকান থাকবে।দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরির জন্য এখনও পর্যন্ত ২৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। অঙ্কটা আরও কিছুটা বেশি হবে। জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির দিকেও কাজ করা বাকি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
