মহাকুম্ভ (MahaKumbh 2025) মেলা উপলক্ষে, প্রয়াগরাজের রাস্তায় অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বড় ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভক্তরা অনেক কিলোমিটার হেঁটে যেতে বাধ্য হচ্ছেন এবং বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশ থেকে আসা ভক্তরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে রয়েছেন। পুলিশ প্রশাসন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও, যানজটের সমস্যা তীব্র হয়েছে, ফলে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে প্রয়াগরাজ থেকে কাটনি পর্যন্ত।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহাকুম্ভে স্নান করতে আসা ভক্তরা প্রবল যানজটের শিকার হচ্ছেন। রাস্তায় প্রবাহিত যানবাহনগুলি ধীর গতিতে চলাচল করছে এবং একাধিক স্থানীয় মহাসড়কে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ভক্তদের জন্য পার্কিং স্পেস তৈরি করা হলেও শাটল বাসের ব্যবস্থা না থাকার কারণে অনেকেই বেশ দূর পথ পায়ে হেঁটে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিশাল যানজটের ফলে, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, দিল্লি, লখনউ, এবং উত্তরপ্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আসা ভক্তরা একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। খাবার ও পানীয় জলের অভাব, দীর্ঘ সময় ধরে যানজটে আটকে থাকা — এসব সমস্যা তাদের জন্য অস্বস্তি সৃষ্টি করছে। রবিবার রাত থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত যানজটের অবস্থা বিশেষভাবে খারাপ ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে, পুলিশ কর্তৃপক্ষ যানজটের পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিতে বিভিন্ন রুটে যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দুপুরের পর কিছুটা যানজট কমে আসলেও, ভক্তদের কষ্ট কমেনি।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে, রেওয়া অ্যাক্সেস রোড ব্যবহার না করতে এবং যেসব স্থানে যানজট রয়েছে, সেখানে ভ্রমণকারীদের জন্য খাবার, পানীয় জল এবং থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, ভক্তদের কোনোরকম অসুবিধায় পড়া উচিত নয়।
মহাকুম্ভে ভক্তদের বিশাল ভিড়ের কারণে, গত তিন দিন ধরে মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে যাতায়াত প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার বিকেলে, মহাকুম্ভে ভিড়ের চাপ কমার তথ্য পাওয়ার পর, পুলিশ প্রশাসন ব্যারিকেড অপসারণ শুরু করে এবং যানবাহনগুলিকে এগিয়ে যেতে দেয়।
তবে, টোল প্লাজা এবং ব্যারিকেডিং পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়েছে। যানবাহনগুলি কেবল হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যেতে সক্ষম। রেওয়া জেলার চকঘাট এবং চিত্রকূট সীমান্তে ভারী যানজট রয়েছে। পুলিশ সদস্যরা যানবাহনগুলিকে খুব ধীর গতিতে চলতে বাধ্য করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এভাবে, মহাকুম্ভ মেলার ভিড় ও যানজটের কারণে ভক্তদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে, তবে প্রশাসন চেষ্টা করছে যাতে যাত্রীদের সুরক্ষা এবং সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।