নৈনিতালের দুর্গম বেতালঘাট ব্লকের জিনোলি গ্রাম। প্রধান অনিতা দেবী বলেন, এখানে ৩০০ ভোটার রয়েছে। গ্রাম থেকে ভোটকেন্দ্রটি পাঁচ কিলোমিটার দূরে। যে পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে কর্মীরা প্রচার চালাচ্ছেন। সেই পোস্টার দেখে ভোট দেন (Loksabha Election 2024) গ্রামবাসীরা।
চিন সীমান্তবর্তী বাগেশ্বর জেলার কামস্যার উপত্যকার কাপুরি গ্রাম। গ্রামের প্রধান ধন্বন্তরী রাঠোর বলেন, মানুষ আজ পর্যন্ত গ্রামে কোনো সাংসদ দেখেনি। এখানে অনেক সমস্যা, কিন্তু কেউ এলে তবে তো জানানো হবে।
উত্তরাখণ্ডের পাঁচটি লোকসভা (Loksabha Election 2024) আসনের জন্য ভোট হবে প্রথম দফায় অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল। তবে, আপনি জেনে অবাক হবেন যে এ রাজ্যে ১২০ টিরও বেশি গ্রাম রয়েছে যেখানে লোকেরা এখনও কোনও নেতাকে চোখে না দেখে ভোট দেন। স্বাধীনতার পর থেকে শুরু হওয়া সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কোনো সংসদ সদস্য ভোট চাইতে এসব গ্রামে পৌঁছায়নি। এখানে যোগাযোগ না থাকার মতো অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এমপি প্রার্থীরা যখন গ্রামেই আসেন না, তখন তারা কার কাছে সমস্যার কথা বলবেন।
ভোটের (Loksabha Election 2024)এক দিন আগে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা দুর্গম পাহাড়ি গ্রামে পৌঁছায়। শুধু ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করেন এবং তাদের খাবার স্কুলের বাবুর্চিকে দিয়েই তৈরি করিয়ে নেন। একদিন আগে সব মেশিন চেক করা হয়। ভোটগ্রহণ কর্মীদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনও রকমের আয়োজনে গ্রামের কোনও ব্যক্তির সাহায্য না নেওয়ার জন্য। নৈনিতালের দুর্গম বেতালঘাট ব্লকের জিনোলি গ্রাম। প্রধান অনিতা দেবী বলেন, এখানে ৩০০ ভোটার রয়েছে। গ্রাম থেকে ভোটকেন্দ্রটি পাঁচ কিলোমিটার দূরে। যে পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে কর্মীরা প্রচার চালাচ্ছেন, তা দেখেই ভোট দেন গ্রামবাসীরা।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election 2024), দেশে ৫০ টি আসন ছিল যেখানে ৫০ শতাংশের এর কম ভোট পড়েছিল। এই তালিকায় আলমোড়া আসন ছিল ২৩তম স্থানে এবং গাড়ওয়াল আসনটি ৪৯তম স্থানে ছিল। পাউরি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিস চৌহান গাড়োয়ালি উপভাষায় ভোট সচেতনতা বার্তা সহ পোস্টকার্ড লিখছেন এবং ভোটারদের কাছে পাঠাচ্ছেন।
উত্তরাখণ্ড একটি পার্বত্য রাজ্য। এখানে প্রচারের জন্য সর্বাধিক ১৫-২০ দিন সময় পাওয়া গেছে। যেখানে প্রতিটি লোকসভা প্রায় ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এমন পরিস্থিতিতে প্রার্থীরা চাইলেও প্রত্যেকটি গ্রামে পৌঁছতে পারছেন না। তাই, এখানে ভোটের হার বরাবরই জাতীয় গড় থেকে কম।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর উত্তরাখণ্ড সফরে এসেছেন উত্তরাখণ্ড কংগ্রেসের রাজ্য ইনচার্জ কুমারী শৈলজা। দেরাদুনে পৌঁছানোর সাথে সাথে কংগ্রেস ইনচার্জ তেহরি লোকসভা আসনের আধিকারিকদের সাথে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন এবং নির্বাচনের বিষয়ে মতামত নেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিভাগ ও ওয়ার রুমের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করে তথ্য সংগ্রহ করেন।