Bangladesh: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বিরুদ্ধে ‘নগদ’ দমনের অভিযোগ, ব্যক্তি স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার?

নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি বিশেষ মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’কে ধ্বংস করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ (Bangladesh) ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে। দিন দিন তাঁর এই অবস্থান আরও প্রকট হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর। একসময় গণমাধ্যমে বেশ মর্যাদাপূর্ণ ভাবমূর্তি থাকলেও, ‘নগদ’কে দমন করে রাখার প্রচেষ্টার ফলে তাঁর আসল চেহারা বেরিয়ে আসছে বলে মনে করছেন অনেকে।

গত বছর ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নিয়েই তিনি যে কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল সুকৌশলে ‘নগদ’কে ধ্বংস করা। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজে ব্র্যাক ব্যাংকের বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ‘বিকাশ’-এর প্রধান উপদেষ্টা থাকায় ‘বিকাশ’কে সুবিধা দিতেই ‘নগদ’-এর ওপর আক্রমণ চালাচ্ছেন।

বিভিন্ন নিয়ম-নীতি ও নৈতিকতার কথা বলে তিনি ‘নগদ’-এর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে কথা বলতে শুরু করেন এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একের পর এক দাফতরিক পদক্ষেপ নিতে থাকেন। অথচ তাঁর নিজের ও তাঁর পরিবারের নানান অপকর্ম এবং কূটকৌশল তিনি পেছনে ফেলে এসেছেন বলে অভিযোগ। তাঁর মেয়ে দেশে অবৈধ মদের ব্যবসা করা থেকে শুরু করে দুবাইতে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ার বিষয়টি বারবারই সুকৌশলে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে।

পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে, একটি সরকারি সেবা বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে চিঠি লিখে ‘নগদ’ পরিচালনার দায়িত্ব ‘নগদ’কেই দেওয়ার অনুরোধ করেন। এই চিঠির পরেই বাংলাদেশ ব্যাংক এখন তৈয়্যব, ডাক বিভাগ এবং মন্ত্রণালয়ের বিপক্ষে কথা বলতে শুরু করেছে।

গভর্নর কন্যার অঢেল সম্পদ ও অবৈধ কার্যকলাপ

গভর্নর সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দুবাইতে তাঁর মেয়ে মেহেরুন সারা মনসুরের সম্পদ ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে। বর্তমানে মেহেরুন দুবাইতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে মেহেরুনের অঢেল সম্পদের নানান তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, এমনকি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের চোখেও বিষয়টি ধরা পড়েছে।

তবে ঢাকায় থাকতেই মেহেরুন অবৈধ মদের ব্যবসা করতে গিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন। পরে আহসান এইচ মনসুর তাঁকে বিমানবন্দর দিয়ে কোনো রকম পার করে দেন বলে অভিযোগ। অবৈধ মদ বিক্রি বিষয়ক একটি মামলা এখনো চলমান আছে বলে জানা গেছে। দুবাইতে গিয়েও মেহেরুনের মদের ব্যবসা বন্ধ হয়নি; বরং সেখানেও মদের দোকান খুলেছেন তিনি। এর সঙ্গে রয়েছে দেহ ব্যবসার রমরমা আয়োজন। একই সঙ্গে দুবাই ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক হুন্ডির ব্যবসাও পরিচালনা করেন তিনি। বাবা গভর্নর হওয়ার পর হুন্ডির কারবার আরও জোরদার হয়েছে বলে অভিযোগ।

সমস্যা সমাধানে ঘুষ দাবি

আর্থিক খাতের ছোট সমস্যাকে জটিল করে ঘুষ দাবি করা এখন মনসুর পরিবারের নতুন কৌশল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মেহেরুন এবং আহসান এইচ মনসুরের বিভিন্ন পক্ষের স্ত্রীরা এসব কাজ করে চলেছেন বলে বিভিন্ন সূত্র এসব খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

গত বছর আগস্ট মাসের শেষ দিকে গভর্নরের তৃতীয় স্ত্রী ‘নগদ’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাফায়েত আলমের কাছে ‘নগদ’ বিষয়ে আপস-রফার একটি প্রস্তাব নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁদের দাবি ছিল, ৭০ কোটি টাকা দিলে তাঁরা ‘নগদ’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রিক সব সমস্যার সমাধান করে দেবেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ‘নগদ’-এর সম্পর্কের যেটুকু ঘাটতি আছে, সেটাও তাঁরা ঠিক করে দেবেন। সঙ্গত কারণেই ‘নগদ’-এর পদস্থ কর্মকর্তা মো. সাফায়েত আলম এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। আর তারপর থেকেই শুরু হয় জটিলতা। ঘটনা সম্পর্কে জানতে সাফায়েত আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এমন ঘটনার কথা নিশ্চিত করেন।

আইন ভঙ্গ করে প্রশাসক নিয়োগ

গভর্নরের পদে বসেই সংশ্লিষ্ট আইনকে তোয়াক্কা করে ‘নগদ’-এ প্রশাসক নিয়োগ করেন আহসান এইচ মনসুর। এ সংশ্লিষ্ট আইনে প্রশাসক নিয়োগের আগে কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয়ে লিখিতভাবে প্রতিষ্ঠানকে কৈফিয়ত তলব করে ব্যাখ্যা করার জন্য সময় দেওয়ার কথা। সেই ব্যাখ্যা পছন্দ না হলেই কেবল প্রশাসক নিয়োগ করা যাবে বলে বলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এসবের কোনো ধার ধারেনি। তাছাড়া, যে আইনের কথা বলা হয়েছে, সেটি তখনো গেজেট নোটিফিকেশন হয়নি, ফলে আইন হিসেবে তখনো ওইটি গণ্য হয়নি। অথচ এই আইনের দোহাই দিয়েই ‘নগদ’-এ প্রশাসক পাঠানো হয়।

ব্র্যাকের লোক দিয়ে ‘নগদ’ বোর্ড পুনর্গঠন

‘নগদ’কে দমনের কৌশল হিসেবে প্রশাসক নিয়োগের পাশাপাশি এমনভাবে বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়, যেখানে নিজের পছন্দ মতো ‘বিকাশ’ সংশ্লিষ্ট লোকদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ‘বিকাশ’কে নিয়ে যৌথ গবেষণা করেছিলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ এবং খন্দকার সাখাওয়াত আলী। এই দু’জনকেই ‘নগদ’ বোর্ডে রাখা হয়। খন্দকার সাখাওয়াত আলী বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ভিজিটিং ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন।

এর বাইরে আহসান এইচ মনসুরের নিজের প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক বজলুল হক খন্দকারকে পাঁচ জনের বোর্ডে রাখা হয়। এভাবেই নিজের গঠন করা প্রশাসক আর বোর্ড দিয়ে ‘নগদ’-এর উদ্যোক্তা আর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জব্দ করতে কাজ শুরু করেন তাঁরা। অল্প দিনের মধ্যেই আগের উদ্যোক্তাদের নামে মামলা করা থেকে শুরু করে নানানভাবে হয়রানি করার কৌশল নেন তাঁরা।

‘বিকাশ’ সংশ্লিষ্ট কেপিএমজিকে দিয়ে ‘নগদ’-এর অডিট

সূত্র জানিয়েছে, প্রশাসক দল দায়িত্ব নিয়েই এক পর্যায়ে ফরেনসিক অডিটের নামে নতুন কৌশল নেয়। এই কৌশলে তারা ‘নগদ’-এর সব তথ্যের দখল নিয়ে নেয়। এখানে ভারতীয় কেপিএমজি-কে দিয়ে অডিট করানো ছিল আরেক চক্রান্ত, যেটি আহসান এইচ মনসুর আর ‘নগদ’-এর প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির প্রধান কামাল কাদির দু’জনে মিলে ঠিক করেছেন। সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সঙ্গে নানাভাবে ঘনিষ্ঠ ছিল এই কেপিএমজি। তাছাড়া, কামাল কাদিরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কেপিএমজি’র বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রধান। গত ১১ বছর ধরে তারা একসঙ্গে নানানভাবে কাজ করছেন।

তবে এ বিষয়ক সবচেয়ে বড় অভিযোগটি হলো, ‘নগদ’-এ অডিট করানোর জন্য অডিট কোম্পানির যে দরপত্র আহবান করা হয়, সেখানে কেপিএমজি ছিল তৃতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা। তৃতীয় হওয়ার পরেও ওপরের দুই প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে কেপিএমজি-কে দিয়ে ‘নগদ’-এর অডিট করানোই প্রমাণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি এই বিষয়টিকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল।

এদিকে, আবার অডিট শেষ করার আগেই মিডিয়া ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নামে একটি মন গড়া প্রতিবেদন দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ভাতা বিতরণের জালিয়াতি এবং ই-মানি জেনারেশন এসব মিলে দুই হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা জালিয়াতি হয়েছে। অথচ এর মাত্র কয়েক মাস আগেই ‘নগদ’-এ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা অডিট করে যান এবং তখন কোনো দুর্নীতি পাওয়া যায়নি বলে সার্টিফিকেটও দেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন প্রতিবেদন দাখিলের পরও আবার দুদককে পাঠিয়ে ‘নগদ’ অফিসে আরও একটি মিডিয়া ট্রায়ালের আয়োজন করা হয়। সূত্র জানিয়েছে, এর সবই করা হয় আহসান এইচ মনসুরের পরিকল্পনায়।

ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স স্থগিত

১৩ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পর প্রথম সুযোগেই ‘নগদ’-এ প্রশাসক নিয়োগ করেন তিনি। তবে প্রতিষ্ঠানটির ওপর প্রথম আক্রমণটা আসে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স স্থগিত করার মাধ্যমে। ২৩ আগস্ট ‘নগদ’-এর ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স স্থগিত করেন আহসান এইচ মনসুর। আর এর মাধ্যমে দেশের মানুষকে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা থেকে বহু দূরে ঠেলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকেরই একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, যেহেতু ‘বিকাশ’ ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পায়নি, সে কারণেই ‘নগদ’-এর লাইসেন্স ‘স্থগিত’ করার মাধ্যমে আসলে কেড়ে নেওয়া হয়।

‘নগদ’-এ প্রশাসকদের বিলাসবহুল আয়োজন

বাংলাদেশ নিযুক্ত প্রশাসকেরা ‘নগদ’-এ নিয়ম নীতি প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলা হলেও, বিস্ময়কর ঘটনা হলো – ‘নগদ’ থেকে লাখ লাখ টাকা সম্মানী নিয়েছেন তাঁরা। আর গভর্নরের ছত্রছায়াতেই এসব কাজ হয়েছে। প্রশাসক হিসেবে ‘নগদ’-এ যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা সবাই ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। ফলে তাঁরা সরকারের বেতন ভাতা পান। এমনকি ‘নগদ’-এ এসে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি বিশেষ ভাতাও তাঁরা পেয়ে আসছিলেন। তারপরেও ‘নগদ’-এ এসে টাকার লোভ সামলাতে পারেননি প্রশাসকরা।

জানা গেছে, ‘নগদ’ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নিযুক্ত প্রশাসক মাসে নয় লাখ টাকা সম্মানী নিয়েছেন। অন্যদিকে, সহকারী প্রশাসকরা প্রত্যেকে নিয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা করে। এর বাইরে প্রত্যেকে বাসায় মাইক্রোবাস আর নিজেরা প্রাডো গাড়ি নিয়েছেন ব্যবহারের জন্য।

এর বাইরেও ‘নগদ’-এর কর্মীদের জন্য থাকা স্বাস্থ্য বীমার ভেতরেও নিজের পরিবারসহ যুক্ত হয়েছেন। দালিলিক প্রমাণেই এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রমাণ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। এছাড়াও প্রতিটা মিটিংয়ের জন্য তিন ধাপে দশ হাজার, আট হাজার ও পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা নিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে আবার বোর্ড সদস্যরাও প্রতিটি বৈঠকের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে সম্মানী নিয়েছেন। এই ৫০ হাজার টাকার জন্য মাসে একাধিক বৈঠকও করেছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট বলছে, সশরীরে উপস্থিত না হয়ে এমনকি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে কোনো রকম হাজিরা দিলেও এই ৫০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন তাঁরা।

গভর্নরকে বিশেষ সহকারীর চিঠি

নানান অসঙ্গতি দেখে এক পর্যায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি লেখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘নগদ’-এর মতো একটি ফিনটেক প্রতিষ্ঠান বেশি দিন রেগুলেটরের নিয়ন্ত্রণে থেকে পরিচালিত হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। আর এর সুফল সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলো পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ডাক বিভাগের মাধ্যমে ‘নগদ’কে পরিচালনার কথা বলেন তিনি।

এই চিঠির পর থেকেই ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নানা রকম কুৎসা ছড়াতে শুরু করে। এমনকি আতিক মোর্শেদ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীকে ‘নগদ’-এর সঙ্গে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানান রকম অপপ্রচার শুরু হয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা জানান, গভর্নরের হয়ে এসব অপপ্রচারের উস্কানি জোগাচ্ছে আসলে দেশের প্রভাবশালী এমএফএস অপারেটরটি। বিষয়টিকে জাতীয় রাজনীতির অংশ করতেই কৌশলে আতিক মোর্শেদের মতো একজন ছাপোষা মানুষকে কোরবানি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অনেক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।


Exit mobile version