ব্রিটেনে কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে (Britain Election) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয়ী হতে চলেছে। বুথ ফেরত সমীক্ষার এই আভাসের মাধ্যমে ধরে নেওয়া হচ্ছে ঋষি সুনাককে সরিয়ে দিয়ে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন কেইর স্টারমার।
ব্রিটেনের সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর সর্বশেষ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এই নির্বাচনে (Britain Election) হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে মধ্য-বামপন্থি লেবার পার্টি ৪১০টি আসন পেতে চলেছে। এর ফলে মনে করা হচ্ছে প্রয়োজনের চেয়ে ১৭০টিরও বেশি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২০১০ সালের পর আবারও ক্ষমতায় ফিরতে যাচ্ছে লেবার পার্টি।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি ১৩১ আসনে জয়ী হতে পারে। অভিবাসন-বিরোধী নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে পার্টি পেতে যাচ্ছে ১৩টি আসন। এ ছাড়া অপেক্ষাকৃত ছোট দল লিবারেল ডেমোক্রেট পেতে পারে ৬১টি আসন। এর ফলে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টিকে হটিয়ে তৃতীয় অবস্থানে চলে আসছে লিবারেল ডেমোক্রেটরা। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ১০টি আসনে জয়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনের এই প্রত্যাশিত সামগ্রিক ফলাফল ব্রিটেনের ঘনিষ্ঠ পশ্চিমা মিত্রদের ডানমুখী প্রবণতার বিপরীত ধারাকেই প্রতিফলিত করছে। কেননা ফ্রান্সে অতি-ডানপন্থিরা ক্ষমতায় চোখ রেখে কথা বলছে আর যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১০ সালে গর্ডন ব্রাউনের পর আবারও লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসছে এই ধরনের শিরোণামে ব্রিটিশ পত্রিকাগুলো ইতিমধ্যে তাদের খবর প্রকাশ করতে শুরু করেছে। লেবার পার্টির প্রতি সমর্থন দেওয়া ডেইলি মিরররে প্রধান শিরোনাম ছিল ‘কেইর উই গো’। এ ছাড়া ২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মতো লেবার পার্টিকে সমর্থন প্রদানকারী রুপার্ট মারডকের ট্যাবলয়েড দ্য সান শিরোনাম করে ‘ব্রিটেন সিস রেড’।
এদিকে স্টারমার ও সুনাক দুই নেতাই নির্বাচনী প্রচারে সমর্থন ও পরিশ্রম করার জন্য নিজ নিজ দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে লোবার পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা এখনই আগাম কোনো উদযাপনে যোগ দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। ব্রিটেন জুড়ে ৪০ হাজার নির্বাচন কেন্দ্রে নেওয়া ভোট গণনা শেষে শুক্রবার সকালে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।