Category: শিরোনাম

  • Loksabha Election 2024 : বাংলায় আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে নির্বাচন, ভোট হবে ৭ দফায়

    Loksabha Election 2024 : বাংলায় আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে নির্বাচন, ভোট হবে ৭ দফায়

    ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024) নিয়ে বড় ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আজ শনিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানালেন, লোকসভার সঙ্গেই বাংলায়…

    ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024) নিয়ে বড় ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আজ শনিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানালেন, লোকসভার সঙ্গেই বাংলায় ২ বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে।
    রাজীব কুমার জানান, ‘গোটা দেশে ২৬ বিধানসভা কেন্দ্র উপ নির্বাচন হবে। ভগবানগোলা, বরানগরে লোকসভার সঙ্গে উপ নির্বাচন হবে। ৭ দফায় দেশে লোকসভা ভোট। আগামী ১৯ এপ্রিল হবে লোকসভা ভোট। ভোট গণনা হবে ৪ জুন।’
    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, প্রথম দফা ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফা ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফা ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৫ মে এবং সপ্তম দফা ১ জুন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলা, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে ৭ দফায় হবে ভোট।

    রইল বাংলার তালিকা…

    ১৯ এপ্রিল: কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার।

    ২৬ এপ্রিল: দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট।

    ৭ মে: দুই মালদহ, বহরমপুর, জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ।

    ১৩ মে: কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বীরভূম, বোলপুর, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল।

    ২০ মে এপ্রিল: হুগলি, হাওড়া এবং আরামবাগ, ব্যারাকপুর, শ্রীরামপুর, বনগাঁ, দমদম, বসিরহাট।

    ২৫ মে: মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম।

    ১ জুন: দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ।

  • CAA Implementation: সিএএ এর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে বাগদা থানায় অভিযোগ

    CAA Implementation: সিএএ এর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে বাগদা থানায় অভিযোগ

    ” যাদের দরখাস্ত (CAA Implementation)করতে বলা হচ্ছে, তাঁরা নাগরিক থাকা সত্ত্বেও আবেদন করলেই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন ৷ এটা অধিকার কাড়ার খেলা, আবেদন করলে…..

    খবর এইসময় ডেস্ক: সোমবার দেশজুড়ে লাগু হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন সিএএ (CAA Implementation)। এনিয়ে রাজ্য জুড়ে উল্লাসের ছবি লক্ষ করা গিয়েছে মতুয়াদের মধ্যে। তবে সিএএ (CAA Implementation)কার্যকর হওয়া নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই৷ সিএএ লাগু হওয়ার পর দিন উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা|

    অভিযোগ, সেই সভা থেকে তিনি বলেন, ” যাদের দরখাস্ত করতে বলা হচ্ছে, তাঁরা নাগরিক থাকা সত্ত্বেও আবেদন করলেই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন ৷ এটা অধিকার কাড়ার খেলা ৷ আবেদন করলে আর নাগরিকত্ব পাবেন কি না কোনও গ্যারেন্টি নেই ৷ সম্পত্তি হারাবেন ৷ সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবেন ৷

    হাবড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এইভাবে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ায় রাজ্যে ঝামেলা অশান্তি এমনকি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও নষ্ট হবে। এমনই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর শাস্তির দাবি জানিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন বাগদার বাসিন্দা গোপাল গোয়ালী।

  • Loksabha Election24: এবার বাংলার বাইরে তৃণমূলের প্রার্থী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাতি

    Loksabha Election24: এবার বাংলার বাইরে তৃণমূলের প্রার্থী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাতি

    উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election24) নিজেদের তৃতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর সেখানেই ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য একটি আসন ছেড়ে দেন, তাই …….

    খবর এইসময় ডেস্ক:   গত ১০ মার্চের ব্রিগেড সমাবেশ থেকে লোকসভা নির্বাচনে(Loksabha Election24) পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনেরই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে,ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরও’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরাবর এই শ্লোগানটি গর্বের সঙ্গে বলে চলেছেন । এদিন আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন যা শুধু ভু ভারতেরই নয় গোটা বিশ্বে এমনটা কোনও রাজনৈতিক দল করতে পেরেছে বলে  যা মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রার্থীদের নিয়ে ব়্যাম্পে হেঁটে সমর্থকদের মাঝে চমক দিয়েছিলেন। আর এরপরে অসমের ৪টি এবং মেঘালয়ের একটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল তৃণমূল।

    উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election24) নিজেদের তৃতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছেন। পাশাপাশি সেখানেই ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য একটি আসন ছেড়ে দেন তিনি। তাই এবার লোকসভা নির্বাচনে(Loksabha Election24) উত্তরপ্রদেশের ভদোই আসন থেকে লড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন ললিতেশ পতি ত্রিপাঠী। তিনি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত পণ্ডিত কমলাপতি ত্রিপাঠীর নাতি। এর আগে তিনি মির্জাপুরের মাদিহান কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন ।

    আবার মেঘালয়ের তুরা আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে(Loksabha Election24) লড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস জানায়, তুরা থেকে দলের প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার ভাই জেনিথ। তিনি এর আগে দুবারের বিধায়ক ছিলেন সেই রাজ্যের। তাঁর দাদা মুকুল ১৯৯৮ সাল থেকে টানা পাঁচবারের বিধায়ক মেঘালয়ে। ২০১০ সালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে ২০২১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। গত বছরের বিধানসভা ভোটে মুকুলের নেতৃত্বে লড়ে মেঘলায়ে পাঁচটি আসন পেয়েছিল তৃণমূল।

    এছাড়াও বৃহস্পতিবার রাতে অসমের চারটি লোকসভা আসনে (Loksabha Election24) প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে শিলচরে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন রাধেশ্যাম বিশ্বাস। লখিমপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ঘনকান্ত। বারপেটায় তৃণমূল প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ এবং কোকরাঝাড়ে তৃণমূলের প্রার্থী গৌরীশঙ্কর সারানিয়া।
    এখন শুধুমাত্র জয়ের অপেক্ষায় তৃণমূল কংগ্রেস।

  • CAA Implemented: লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ লাগু হওয়ায় ব্যাকফুটে মমতা

    CAA Implemented: লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ লাগু হওয়ায় ব্যাকফুটে মমতা

    দেশে সিএএ কার্যকর (CAA Implemented)করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের জন্য বেশ খানিকটা বেগ পেতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে…

    লোকসভা নির্বাচনের রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে, মোদি সরকার সোমবার সন্ধ্যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সিএএ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এর সাথেই দেশজুড়ে সিএএ আইন কার্যকর হয়েছে (CAA Implemented)। সিএএ-এর অধীনে,পাকিস্তান,বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা অমুসলিমরা নাগরিকত্ব পেতে সক্ষম হবেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক ময়দানে নামার আগে, মোদি সরকার সি এ এ বাস্তবায়ন করে((CAA Implemented) তার ‘হিন্দুত্ব’ মজবুত করতে আরেকটি তীর যোগ করেছে, যার একযোগে একাধিক রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণের কৌশল রয়েছে।

    এখন প্রশ্ন উঠছে যে সিএএ কার্যকর করা লোকসভা নির্বাচনে কী প্রভাব ফেলবে?

    সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার সাথে সাথে বিজেপি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লিখেছিল বিজেপি সিএএ-র সম্পূর্ণ সময়সীমাও দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে সিএএ আইন ১৯৫৫ পরিবর্তনের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ সালে সংসদে পেশ করা হয়েছিল, কিন্তু মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে এটি পাস হয়েছিল। ১০ ডিসেম্বর ২০১৯-এ লোকসভা এবং পরের দিন। রাজ্যসভায় পাস হয়। ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯-এ রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়ার সাথে সাথেই সি এ এ আইন হয়ে ওঠে এবং চার বছর পর, মোদি সরকার সোমবার সি এ এ বিজ্ঞপ্তি জারি করে (CAA Implemented)।

    লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপি সিএএ নিয়ে একটি পদক্ষেপ নিয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে চলেছে। বিজ্ঞপ্তি ঘোষণার সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এবং মতুয়া সম্প্রদায় উৎসবে মেতেছেন, তবে আসামে অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন প্রতিবাদ করেছে এবং আন্দোলন তীব্র করবে বলে ঘোষণা করেছে। যদিও সিএএ ইস্যু পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পক্ষে রাজনৈতিকভাবে অনুকূল প্রমাণিত হতে পারে তবে আসামে উত্তেজনার আবহ তৈরি হতে পারে। কিন্তু বাংলায় ক্লিন সুইপের স্বপ্ন দ্যাখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এটা কি উদ্বেগের কারণ হতে পারে?

    এর প্রভাব পড়বে বাংলার রাজনীতিতে 

    সিএএ বাংলায় বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। অমিত শাহ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী মোদী পর্যন্ত সবাই বাংলায় সিএএ কার্যকর করার কথা বলছেন এবং এখন যখন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, বিজেপি এর থেকে লাভবান হওয়ার আশা করছে। সি এ এ বাস্তবায়নের ফলে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা অমুসলিম উদ্বাস্তুরা নাগরিকত্ব পাবে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়। রাজ্যে মতুয়া সম্প্রদায়ের একটি বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে। ২০১৯ সালে, বিজেপি মতুয়া সম্প্রদায়কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তাদের সিএএর মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, যার সুবিধাও পাওয়া গিয়েছে।

    মতুয়া সম্প্রদায় সম্পর্কে বলা হয় যে বাংলার রাজনৈতিক গণিত মূলত মতুয়া ভোটের উপর নির্ভর করে। মনে করা হচ্ছে মতুয়া ভোট যেখানেই যায়, সেখানেই উঠে যায়। বাংলায় আনুমানিক এক কোটি আশি লাখ মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটার রয়েছে, যারা যেকোনো দলের সরকার গড়া বা ভাঙার ক্ষমতা রাখে। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তত চারটি লোকসভা আসনে এই সম্প্রদায়টি নির্ণায়ক। সিএএ ইস্যুতে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ এবং রানাঘাট আসন জিতেছিল বিজেপি।

    আসলে, সি এ এ ইস্যুটি মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্ব বোঝার জন্য মতুয়া সম্প্রদায়ের ইতিহাস জানা জরুরি। মতুয়া সম্প্রদায় পূর্ববঙ্গ এবং এখন বাংলাদেশ থেকে হিন্দু উদ্বাস্তু। বর্ণের শ্রেণীতে তাদের দলিত সম্প্রদায় হিসেবে রাখা হয়েছে এবং নমশূদ্র বলা হয়। মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ১৭ শতাংশ মানুষ পশ্চিমবঙ্গে বাস করে।বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসা মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী নাগরিকত্বের দাবি করে আসছে। এরা হলেন হিন্দু উদ্বাস্তু যারা দেশ বিভাগের সময় ও পরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের মতো, রাজবংশী সম্প্রদায়ও সিএএ থেকে উপকৃত হয়। রাজবংশীও হিন্দু। ১৯৭১ সালের পর থেকে এখনো নাগরিকত্ব পাননি এসব মানুষ।

    পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব বর্ধমানে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রভাব রয়েছে। একইভাবে, পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১০টি তপশিলি উপজাতি আসন রয়েছে। এই লোকসভা আসনের মধ্যে চারটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রভাব রয়েছে। মতুয়ার পাশাপাশি রাজবংশী সম্প্রদায়েরও স্থায়ী নাগরিকত্বের পুরনো দাবি রয়েছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ইত্যাদিতে রাজবংশী সম্প্রদায়ের একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের ৪-৫টি লোকসভা আসনে রাজবংশী সম্প্রদায়ের প্রভাব রয়েছে। এইভাবে, সামগ্রিকভাবে সিএএ আইন রাজ্যের চারটি লোকসভা আসনে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।

    যে সম্প্রদায়গুলি সিএএ আইন থেকে উপকৃত হতে চলেছে, তারা বাংলায় ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিল। এই কারণেই সিএএ আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরে বিজেপি বাংলায় রাজনৈতিক লাভের আশা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে তিনি সিএএ কার্যকর হতে দেবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এই আইন বাস্তবায়নে শিথিল মনোভাব পোষণ করেন, তাহলে বিজেপি তাকে কোণঠাসা করার সুযোগ পাবে। বিজেপির লাভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য উত্তেজনা বাড়াতে চলেছে।

  • CAA Implement:  সিএএ কার্যকর করল মোদী সরকার,  কী হাল শাহীনবাগ, জামিয়া ও আলিগড়ে?

    CAA Implement: সিএএ কার্যকর করল মোদী সরকার, কী হাল শাহীনবাগ, জামিয়া ও আলিগড়ে?

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সন্ধ্যায় একটি নোটিশ জারি করেছে এবং সারা দেশে CAA কার্যকর করেছে (CAA Implement)। এর পরে জামিয়া, শাহীনবাগ এবং এএমইউতে কঠোর নিরাপত্তা দেখা গিয়েছে, যা ২০১৯ সালের CAA-NRC বিক্ষোভের কেন্দ্র ছিল।

    National Desk:  গোটা দেশে নাগরিকত্ব আইন (CAA) কার্যকর হয়েছে (CAA Implement)। সিএএ এমন সময়ে কার্যকর করা হচ্ছে যখন দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পাশাপাশি রমজান মাসও শুরু হতে চলেছে। এমন সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হওয়ায় দেশজুড়ে এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নয়াদিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, শাহীন বাগ এবং এএমইউতে এই খবরের পরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, যেগুলি ২০১৯ সালের CAA, NRC বিক্ষোভের কেন্দ্র ছিল।

    জামিয়ার ছাত্ররা বিক্ষোভ করে

    সিএএ আইন কার্যকর হওয়ার(CAA Implement) কয়েক ঘন্টা পরে, জামিয়ার কিছু ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যান্টিনে জড়ো হয়েছিল এবং সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এই প্রতিবাদ ডেমোতে, ছাত্ররা ঘোষণা করেছিল যে আমরা জামিয়ার ছাত্ররা সিএএ, এনআরসি নিয়ে আমাদের অবস্থানে অটল,২০১৯সালে আমাদের প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পরে, শাহীনবাগে এবং পরে গোটা দেশ জুড়ে ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হয়েছিল। আমরা আবারও এর প্রতিবাদ করব। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

    https://twitter.com/Ftyjmi/status/1767219637996171486?s=20

     

    শাহীনবাগে পুলিশের পতাকা মিছিল

    দেশের দীর্ঘতম সিএএ-এনআরসি বিক্ষোভ শাহীনবাগে ১০১ দিন ধরে চলে। নয়ডা সীমান্ত সংলগ্ন দিল্লির শাহীনবাগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিক্ষোভস্থলের পাশের খাবারের বাজারে রমজানের উত্তেজনা দেখা গেলেও কোথাও কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি। এছাড়াও শাহীনবাগের রাস্তায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন দেখা গেছে। শাহীনবাগে ফ্ল্যাগমার্চও করেছে পুলিশ।

    এএম ইউ তে শান্তি ছিল

    ২০১৯ CAA-NRC আন্দোলনের সময়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর সংখ্যক বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। কিন্তু সোমবার এ বিল বাস্তবায়নের ((CAA Implemen) পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো আন্দোলন দেখা যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের প্রস্তুতি দেখা গেছে।

  • Kanthi: নাবালিকাকে জোর করে নিষিদ্ধপল্লীতে ব্যবসায় কাজে লাগানোয় গ্রেফতার যুবক

    Kanthi: নাবালিকাকে জোর করে নিষিদ্ধপল্লীতে ব্যবসায় কাজে লাগানোয় গ্রেফতার যুবক

    District Desk: নদীয়া থেকে নাবালিকা’কে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে কাঁথিতে (Kanthi) নিয়ে এসে যৌন ব্যবসার কাজে লাগানোর অভিযোগে গ্রেফতার হল অভিযুক্ত যুবক। কাঁথির ওই নিষিদ্ধ পল্লীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে পাকড়াও করলো কাঁথি (Kanthi) মহিলা থানায় পুলিশ। ধৃত সাবেক শেখ। তার বাড়ী নদিয়া জেলার।

    পুলিশ হেফাজতের পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে আবারও কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন নাকচ করে দেন। জানাগেছে, সাম্প্রতিক কয়েকদিন আগে নদীয়া জেলা এক নাবালিকাকে কাজের প্রলোভন দিয়ে কাঁথি নিয়ে আসে ওই যুবক। এরপর কাঁথি শহরে হাতাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে রাখে। এরপর ওই নাবালিকাকে মোটা টাকায় জন্যই কাঁথি(Kanthi) নিষিদ্ধ পল্লীতে নিয়ে এসে যৌন ব্যবসায় কাজে লিপ্ত করে।

    নাবালিকা হওয়ার কারণে নিষিদ্ধপল্লীর পক্ষ থেকে কাঁথি মহিলা থানায় বিষয়টি জানানো হয়। পরে কাঁথি(Kanthi) মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে পাকড়াও করে। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কাঁথি (Kanthi) মহিলা থানার আধিকারিক অর্পিতা সাহা ( মাইতি ) বলেন ” ঘটনার তদন্ত তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে “।

  • Nandigram: অগ্নিগর্ভ নন্দীগ্রাম! জনগর্জন প্রস্তুতি সভার পর আক্রান্ত তৃণমূল, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভে শামিল তৃণমূল

    Nandigram: অগ্নিগর্ভ নন্দীগ্রাম! জনগর্জন প্রস্তুতি সভার পর আক্রান্ত তৃণমূল, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভে শামিল তৃণমূল

    ব্রিগেডে জনগর্জন সভা ডাক দিয়েছে তৃণমূল। তারই প্রস্তুতি সভা শেষে নন্দীগ্রামে (Nandigram) তৃণমূল কর্মীদের উপর মারধর করার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালো তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে কর্মীরা…..

    District Desk:   জমি আন্দোলনে স্মৃতি উস্কো দিল সেই নন্দীগ্রাম (Nandigram)। তৃণমূল কর্মীদের উপর মারধর করার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালো তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে কর্মীরা। জমি আন্দোলনের সময় তৎকালীন বামফ্রন্ট পরিচালিত রাজ্য সরকার! আগামী ১০ ই মার্চ রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে কোলকাতায় ব্রিগেডে জনগর্জন সভা ডাক দিয়েছে। তার প্রস্তুতি হিসেবে রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে সভা চলছে। বুধবার বিকালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে (Nandigram) নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহেশপুরে প্রস্তুতি পথসভার করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দু’জন তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরা। যদি এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের সরগরম নন্দীগ্রাম!

    জানাগেছে, বুধবার বিকালে নন্দীগ্রাম (Nandigram) ১ নম্বর ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহেশপুরে প্রস্তুতি পথসভার অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বাড়ী ফেরার পথে দু’জন তৃণমূল কর্মী অশোক দাস ও ভরত দাস’কে বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয়রা ছুঁটে এলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিয়ুক্তরা। এঁদের মধ্যে আহত অশোক দাস আবার এলাকার প্রাক্তন প্রধানও। রক্তাক্ত জখন দু’জন’কে উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। এদিন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর দুষ্কৃতীদের হামলার প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে (Nandigram) রাস্তা অবরোধ করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। রাস্তার উপর আগুন জ্বালিয়ে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রাম – তেখালি সংযোগকারী রাস্তা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নন্দীগ্রাম থানায় ও তেখালি ফাঁড়ির পুলিশ বাহিনী।

    নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন ” ১০ ই মার্চ জনগর্জন সভায় জনসভার চলছিল নন্দীগ্রামে মহেষপুরে। সভা শেষ বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালায়। লোহাড় রড ও বাটাম দিয়ে হামলা চালায়। দফাই দফায় পাঁচ দিনের উপর হামলা চালায় “।

    যদি এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সাহেব দাস বলেন ” এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। এরা নিজেরা মারধর করে বিজেপির নামে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। আর পুলিশ-প্রশাসন সব এদের। তারপরও যদি এভাবে বিক্ষোভ দেখায়, সেটা দুর্ভাগ্যের বিষয় “।

    যদিও  বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রাম থানায় এক পুলিশ আধিকারিক ।

  • Rajanya Halder : বিজেপি’তে না রাজন্যার, নিজেই স্পষ্ট জানাল এগরায়

    Rajanya Halder : বিজেপি’তে না রাজন্যার, নিজেই স্পষ্ট জানাল এগরায়

    বিজেপি’তে যাচ্ছেন না, এগরায় একটি ক্লাবের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দাবি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী রাজন্যা হালদারের(Rajanya Halder)…..

    District  Desk : আজ বুধবার মেদিনীপুরের এগরার পানিপারুলের একটি ক্লাবের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী রাজন্যা হালদার (Rajanya Halder)। সেখানে বিজেপি’তে যোগ দিচ্ছেন না বলে পরিস্কার জানিয়ে দিলেন স্বয়ং নেএী। নেএী রাজন্য হালদার বলেন ” বিজেপিতে যোগদান করার হলে ১০ই মার্চ জনগর্জন সভার প্রস্তুতি সভাগুলো করতাম না। এরকম প্রস্তাব এলেও সেটি প্রত্যাখ্যান হয়েছে আমার দ্বারা। আমি মনে করি আমি মায়ের পক্ষে, মাটির পক্ষে সেখানে মানুষ শেষ কথা বলে। চব্বিশে লোকসভা ভোটে টিকিট দেওয়া প্রলোভনে পা না দেওয়াই ভালো। অকৃতজ্ঞতা আমার রক্তে নেই। আমার শিরায় শিরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই জন্য এরকম প্রলোভন এলেও তুচ্ছ মনে করে এগিয়ে যেতে হবে “।

    তিনি আরও জানিয়েছেন ” আমি অকৃতজ্ঞ হতে পারবো না। সমস্ত জল্পনার অবসান করে আমি প্রেস মিটে বলেছি, মিডিয়াকে উত্তর দিয়ে ক্লিয়ার করে দিয়েছি। ফেসবুকে পোষ্ট করেও বলে দিয়েছি বিজেপিতে আমি যাচ্ছিনা। বিজেপিতে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসেনা। এমপি টিকিটের প্রলোভনেও আসে না। আমি মনে করি যে দলটি আমারা করি সেই দল সাধারণ মানুষের কথা অনেক বেশি ভাবে। সাধারণ মানুষের জন্যই এই জায়গায় আমার আসা। ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই রাজন্যা, রাজন্যা (Rajanya Halder) হতে পেরেছে। তবে কোনো জল্পনাই নেই। একদম স্পষ্ট, আমি মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে রয়েছি, মা মাটি মানুষের পক্ষে রয়েছি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে রয়েছি। তৃণমূল দলের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য “।

    বস্তুত, সাম্প্রতিক কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে টেলিভিশনে তৃণমূল নেত্রী রাজন্য হালদার(Rajanya Halder) বিজেপি’তে যোগ দিচ্ছেন। এই খবর প্রচারিত হতেই বেকায়দায় পড়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি, এগরা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহনাজ বেগম, পানিপারুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রঞ্জিতা প্রধান, কাউন্সিলর জয়ন্ত সাহু, উদয়শঙ্কর সর, নিশিকান্ত জানা, আইয়ুব খান ও জয়রাম প্রধান-সহ অন্যন্যরা।


  • Tapas Roy: মান ভঞ্জনে ব্যর্থ ব্রাত্য-কুনাল, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের

    Tapas Roy: মান ভঞ্জনে ব্যর্থ ব্রাত্য-কুনাল, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের

    নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দলের প্রতি অভিমানী ছিলেন বেশ কয়েকদিন। বরানগরে মঞ্চ থেকে এক সময় প্রকাশ্যে তিনি বলেছিলেন রাজনৈতিক জীবন থেকে সন্ন্যাস নেবেন। ফলে বিধায়কের কথায় রীতিমতো জল্পনা সৃষ্টি হয় দলীয় অন্দরে। সেই কথায় অবশেষে শীলমোহর দিলেন নিজেই। দল সহ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তাপস রায় (Tapas Roy)।

    ১২জানুয়ারি কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি(ED) বিধায়কের বাড়িতে হানা দেওয়ার বিষয়টি দলেরই উদ্দেশ্যে প্রনোদিত এমনটাই দাবি তাঁর। সেই সময় পাশে দাঁড়ায়নি দল সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যার জেরে দলে গুরুত্ব অনেকটাই কমেছে মনে করেন তাপস রায়(Tapas Roy)।

    সোমবার সকালে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)ও কুনাল ঘোষ(Kunal Ghosh) তাপস রায়ের(Tapas Roy) বাড়ি গিয়ে শেষ চেষ্টায় কার্য্যত ব্যর্থ হন। এদিন বেলায় বিধানসভায় গিয়ে তাপস রায় তার ইস্তফাপত্র তুলে দেন স্পিকারের হাতে। বেলা ১:১৫ বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, আমাকে দলের প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন দুর্নীতিতে দলের নাম জড়িয়েছে যা আমাকে ভাবিয়ে তুলছে। ১২জানুয়ারি বাড়িতে ইডির(ED)অভিযান। যার পিছনে দলের কেউ জড়িত। এতদিন হয়ে গেলেও দল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একবারের জন্য খবর নেননি। তবে বিরোধী নেতারা ক্রমাগত খোঁজ নিয়েছিলেন।সন্দেশখালির ঘটনায় যথেষ্ট ভাবিয়ে তুলেছে। দলের সবাই খারাপ নয় তবে কিছু মানুষের জন্য দল খারাপ হচ্ছে। গত ১মার্চ দলে ইস্তফাপত্র দিয়েছি আজ বিধায়ক পদেও ইস্তফা দিলাম। তবে রাজনৈতিক জীবন থেকে এখনই সন্ন্যাস নেবেন কি না স্পষ্ট করেননি তিনি ।

    দুয়ারে করা নাড়ছে লোকসভা ভোট। তার আগে তাপস রায়ের পদত্যাগে যথেষ্ট অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলে ডামাডোল যার জেরে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে বিরোধী শিবিরে।

  • Lord Shiva: শিবরাত্রির দিন এই কাজ করলে আপনার অভাব দূর হবে, হবে পুত্র লাভ

    Lord Shiva: শিবরাত্রির দিন এই কাজ করলে আপনার অভাব দূর হবে, হবে পুত্র লাভ

    রিম্পি চ্যাটার্জী: শিবরাত্রি এলে শৈব ভক্তরা দেবাদিদেব মহাদেবকে(Lord Shiva) প্রসন্ন করবার জন্য অনেক কিছুই করে, আজকে আমি আপনাদের এমন পাঁচটি শাস্ত্রীয় বিষয়ের উল্লেখ করবো যেগুলি পালন করলে আপনাদের ধর্ম, অর্থ, কাম মোক্ষ সবই লাভ হবে এবং একই সাথে ইহজগতিক কামনা বাসনা ও পূর্ণ হবে।শিব মহাপুরাণের বিদ্যেশ্বর সংহিতায় এরকম কতগুলি জিনিসের উল্লেখ আছে যেগুলি শিবরাত্রির দিন দেবাদিদেব মহাদেবকে (Lord Shiva) নিবেদন করলেই বিশেষ ফল প্রাপ্তি হয়।

    ১। শিব মহাপুরাণের বিদ্যেশ্বর সংহিতা অনুযায়ী, বলা হয়েছ, যে ব্যক্তি বেল গাছের কাছে কোনো শিব ভক্তকে পায়েস এবং ঘি যুক্ত অন্ন পরিবেশন করেন তিনি কখনো গরীব হন না। অর্থাৎ অভাব থেকে মুক্তি পেতে চাইলে শিবরাত্রির দিন শিব ভক্তকে আহার করান।

    ২। তিল দিয়ে শিব লিঙ্গের অভিষেক করান, এই দিন এমন কার্য করলে শনি গ্রহের দোষ কেটে যায়।

    ৩। যদি কোনো ব্যক্তি দীর্ঘায়ু কামনা করেন, তাহলে তার দুর্বা সহকারে শিবের পুজো করা উচিত।

    ৪। ১ লাখ ধুতরা ফুল দিয়ে শিব রাত্রির দিন পুজো করতে পারেন পুত্র আকাঙ্খাকারীরা। শাস্ত্র অনুযায়ী এই ক্ষেত্রে তারা শুভ ফল লাভ করবেন।

    ৫।শিব লিঙ্গকে তুলসীমঞ্জরী দিয়ে পুজা করলে একজন ব্যক্তি ভোগ ও মোক্ষ উভয়ই প্রাপ্ত হন।

    -শৈব শাস্ত্র অনুযায়ী এই পাঁচ কার্য করলে দেবাদিদেব মহাদেবের (Lord Shiva) বিশেষ কৃপা প্রাপ্ত হওয়া যায়।