নয়াদিল্লি: আলোর উৎসব দীপাবলির জন্য সম্পূর্ণ সেজে উঠেছে রাজধানী দিল্লি (Diwali in New Delhi)। ২০ ও ২১ অক্টোবর, দু’দিন ধরে শহরজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে এই উৎসব। বাজার থেকে শুরু করে প্রতিটি বাড়ি আলোয় ঝলমল করছে, যেন এক আলোর বন্যায় স্নান করছে গোটা শহর।
উৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে:
দিল্লির প্রতিটি বাজার ও কলোনি উৎসবের মেজাজে মুখর। চাঁদনী চক, কারোল বাগ, রাজেন্দ্র নগর, চাওরি বাজার, দরিয়াগঞ্জ, লুটিয়েন্সের দিল্লি – সব জায়গার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেস্টুন ও আলো দিয়ে সজ্জিত। মানুষজন ঘরদোর ধোয়া-মোছা করে নতুন রং করেছে, যা ঘরের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়েছে। নতুন পর্দা, বিছানার চাদর ও কভার বদলে দেওয়া হয়েছে এবং অতিথিদের জন্য আনা হয়েছে নতুন বাসনপত্র ও ক্রোকারিজ। ঘর থেকে ভেসে আসছে বেসনের লাড্ডু সহ নানান খাবারের মিষ্টি সুবাস।
সাজসজ্জা ও কেনাকাটার ভিড়:
রবিবার সন্ধ্যায় অনেক বাড়িতেই ঘরের দরজা, বারান্দা ও বাইরে প্রদীপ জ্বলজ্বল করতে দেখা গেছে। সোমবার, দীপাবলির প্রধান দিনে, প্রতিটি ঘর প্রদীপের আলোয় ভরে উঠবে। লক্ষ্মী ও গণেশ জির মূর্তি ও ছবি, শুভ চরণ, পূজার সামগ্রী, প্রদীপ, মোমবাতি এবং বিভিন্ন রঙের ও ডিজাইনের মালা সহ নানা কৃত্রিম ফুল কিনে ঘর সাজানোর কাজে ব্যস্ত সকলে। বিশেষত ভারতীয় পোশাকের চাহিদা ছিল চোখে পড়ার মতো।
ক্রেতাদের ভিড়ে গভীর রাত পর্যন্ত বাজারগুলি মুখর ছিল। যদিও রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে চাঁদনী চক, সদর বাজার, দরিয়াগঞ্জ ও চাওরি বাজারে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল, তবে কারেলবাগ, কনট প্লেস, খান মার্কেট, পাহাড়গঞ্জের মতো বাজারগুলো স্থানীয় ক্রেতাদের ভিড়ে উপচে পড়েছিল।
ছোট দীপাবলির দিন, রূপ চতুর্দশীতে প্রসাধনী কেনারও বিশেষ তাৎপর্য থাকায় মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পদ্ম, গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জুঁই সহ নানা জাতের ফুলের পাশাপাশি ঘর সাজানোর জন্য আমের পাতাও বিক্রি হয়েছে। ফুলের মূল ব্যবসা দীপাবলির দিনেই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবার বাজারে বাজিও বিক্রি হচ্ছে, যা শিশুদের নজর কেড়েছে।
দুই দিনের উদযাপন:
দিল্লির অধিকাংশ হিন্দু, জৈন ও শিখ পরিবার ২০ অক্টোবর দীপাবলি উদযাপন করছে। তবে অনেক পরিবারই আলো ও মঙ্গলের প্রতীক এই উৎসবটি ২১ অক্টোবরও উদযাপন করবে। এই দিনে মানুষজন বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করবে। সেই উদ্দেশ্যে মিষ্টি ও শুকনো ফল সমৃদ্ধ উপহারের প্যাকেজ কেনার জন্য বাজারগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।