Hacked Website: শিক্ষা দফতরের ওয়েবসাইট হ্যাক! ট্যাব কেনার টাকা চলে গেল প্রতারকদের কাছে

সরকারি ওয়েবসাইট  (Hacked Website) হ্যাক করে ট্যাবের টাকা সরিয়ে নিল হ্যাকাররা। রাজ্য সরকারের বাংলার শিক্ষা ওয়েবসাইট হ্যাক (Hacked Website)  করে একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ফোন কেনার ৭ লক্ষ টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে শিক্ষা দফতর তদন্ত (Hacked Website)  করতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি শিক্ষা দফতর রাজ্যে একাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল কেনার টাকা বিলি করা হয়েছিল।  বাংলার শিক্ষা পোর্টালে নথিভুক্ত অ্যাকাউন্ট নম্বর অনুসারে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে সেই টাকা। পূর্ব মেদিনীপুরের চারটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, অন্যানয স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে টাকা এলেও, তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা আসেনি।  তদন্তে নেমে জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা জানতে পারেন, ওই ৪টি স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মোট ৭০ জন ছাত্রছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর পোর্টাল হ্যাক করে বদলে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের বদলে সেই টাকা চলে গিয়েছে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে। তারপর থেকে জোর কদমে তদন্ত শুরু হয়েছে।

 

যে ৪টি স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে তাদের দাবি, নিয়ম মেনে পোর্টালে সঠিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরই নথিভুক্ত করা হয়েছিল। কেন তাঁরা টাকা পাননি, এই বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। কীভাবে অ্যাকাউন্ট নম্বর পাল্টে গেল, সেই রহস্য তাঁদের কাছে অজানা। আর বদলে যাওয়ার পর কী ভাবে টাকা ওই অ্যাউন্টে গেল তাও রহস্যের। কারণ অ্যাকাউন্ট নম্বর না মিললে টাকা যাওয়ারই কথা না।

 

নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, প্রতারকদের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভাশিস মিত্র বলেন, সরকারকে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।

 

এদিকে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের কথায়, তাঁদের পক্ষে আগে থেকে ওয়েবসাইটে ঢুকে সবার নাম এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর মিলিয়ে দেখা সম্ভব ছিল না। তবে অ্যাকাউন্টের তথ্য না মিললে সরকারের তরফ থেকেই টাকা ট্রান্সফার না হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে কীভাবে অন্য অ্যাকাউন্টে তরুণের স্বপ্নের টাকা গেল সেই নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে বলে খবর।

Exit mobile version