হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ (Hindenburg Case) নিয়ে তীব্র বিতর্কের মধ্যে, কংগ্রেস মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচের পদত্যাগ এবং আদানি মামলার যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবিতে তারা ২২ আগস্ট দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করবে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দলের প্রস্তুতির সময় এআইসিসি-র সমস্ত সাধারণ সম্পাদক, রাজ্য ইউনিট প্রধান এবং রাজ্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বৈঠকের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এই ঘোষণা করেন।
বৈঠকের পর এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ কেসি ভেনুগোপাল বলেন, আগামী ২২ আগস্ট সারা দেশে ব্যাপক আন্দোলন হবে। আমরা প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কার্যালয় ঘেরাও করব এবং সেবি চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি জানাব। আজ আমরা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত এবং রাজ্য কংগ্রেস সভাপতিদের একটি বৈঠক ডেকেছি। এই বৈঠকে দেশের অন্যতম বৃহত্তম কেলেঙ্কারি হিন্ডেনবার্গ কেলেঙ্কারি (Hindenburg Case), আদানি এবং সেবি সম্পর্কিত কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বেনুগোপাল আরও বলেন, আমরা সর্বসম্মতিক্রমে দুটি দাবি নিয়ে এই ইস্যুতে দেশব্যাপী আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটি আদানি কেলেঙ্কারির জেপিসি তদন্ত যেখানে প্রধানমন্ত্রী পুরোপুরি জড়িত এবং যার আর্থিক বাজার নিয়ন্ত্রণ এখন গুরুতরভাবে আপস করা হয়েছে। ১০ই আগস্ট হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ অভিযোগ (Hindenburg Case) করে যে সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধাভাল বুচের কথিত আদানি অর্থ পাচার কেলেঙ্কারিতে ব্যবহৃত অব্যক্ত অফশোর তহবিলের অংশীদারিত্ব ছিল।
এই অভিযোগগুলি (Hindenburg Case) একটি রাজনৈতিক বিতর্কের সূত্রপাত করেছে, কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া ব্লকের অন্যান্য দলগুলি তাঁর অপসারণ এবং একটি যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) দ্বারা তদন্তের দাবি জানিয়েছে, অন্যদিকে বিজেপি বিরোধীদের ভারতে আর্থিক অস্থিতিশীলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অংশ বলে অভিযুক্ত করেছে। বুচ এবং তার স্বামী অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সেবির বিশ্বাসযোগ্যতার উপর আক্রমণ করছে এবং প্রদত্ত কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেওয়ার পরিবর্তে এর প্রধানকে চরিত্রহানির চেষ্টা করছে।
