পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) সরকারের বিরুদ্ধে ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য সংরক্ষণ নীতির অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে সরকার মুসলিমদের খুশি করার জন্য সাধারণ শ্রেণীর অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য সংরক্ষণ নীতি ব্যবহার করছে।
“রাজ্যে গণতন্ত্র দুর্বল”
সল্টলেকে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী (ওবিসি) সমিতির এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের পর বামফ্রন্ট যে ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি শুরু করেছিল, তৃণমূল সরকার তা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যার মূল লক্ষ্য ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের সমর্থন অর্জন করা। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেন যে, ধারাবাহিক শাসক দলগুলির “ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির” কারণে রাজ্যে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ছে।
কলকাতা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলি
২০২৪ সালের মে মাসে, কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকটি শ্রেণীকে প্রদত্ত ওবিসি মর্যাদা বাতিল করে। আদালত রাজ্য পরিষেবা এবং শূন্যপদগুলির জন্য এই সংরক্ষণগুলিকে অবৈধ বলে মনে করে। বাতিল হওয়া সংরক্ষণগুলির মধ্যে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর ২০১০ এর মধ্যে ৭৭টি শ্রেণীকে প্রদত্ত সংরক্ষণ এবং ২০১২ সালের রাজ্য সংরক্ষণ আইনের অধীনে আরও ৩৭টি সংরক্ষণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর নেতৃত্বে বামফ্রন্ট ২০১১ সালের মে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় ছিল, তারপরে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫ তারিখে, কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক ১৪০টি উপ-শ্রেণীর জন্য OBC-A এবং OBC-B শ্রেণীর সংরক্ষণের বিষয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তির উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের আদেশ দেয়। ৩১ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করার সময়, আদালত নির্দেশ দেয় যে ৮ মে থেকে ১৩ জুনের মধ্যে OBC শ্রেণীর বিষয়ে রাজ্য সরকার কর্তৃক জারি করা নির্বাহী বিজ্ঞপ্তিগুলি ৩১ জুলাই পর্যন্ত কার্যকর হবে না। আদালত নির্দেশ দেয় যে এর ফলে সৃষ্ট সমস্ত পদক্ষেপও ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। রাজ্য সরকার OBC-A (আরও অনগ্রসর সম্প্রদায়) এর অধীনে ৪৯টি উপ-ধারা এবং OBC-B (তুলনামূলকভাবে কম অনগ্রসর সম্প্রদায়) এর অধীনে ৯১টি উপ-ধারা অন্তর্ভুক্ত করেছে।
