CM Mamata Banerjee: বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ ফিরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! প্রকাশ্যে নিজেই জানালেন কারণ

Mamata INDIA

আরজি কর কাণ্ডে বারবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দাবি উঠছে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ। জমায়েত থেকে মিছিল, সব জায়গায় বার বার স্লোগানে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) দাবি করেন, বিনীত গোয়েল বার বার পদত্যাগ করতে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁকে ফেরান।

 

সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বলেন, “সাতদিন আগে সিপি নিজে এসেছিলেন আমার কাছে পদত্যাগ করতে। কিন্তু সামনে পুজো। ল’ অ্যান্ড অর্ডারটা বড় বিষয়। যিনি দায়িত্বে থাকবেন, তাঁকে তো বিষয়টা জানতে হবে। পুজোর সময়। কিছুদিন ধৈর্য ধরলে কী হয়? আপনারা ঠিক করবেন, সবাইকে বদলাতে হবে? আপনি ১০টা দাবি দিতে পারেন। আমি ৫টা করতে পারি, ৫টা নাও করতে পারি।”

নবান্নে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) পুলিশের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, পুলিশকে সংযত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পুলিশের রক্ত ঝরেছিল। কিন্তু পুলিশ কারও রক্ত ঝরায়নি। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, পুলিশ রাত জেগে দুর্গাপুজোতে ডিউটি করেন। পুলিশ দুর্ঘটনার সময় রাত জেগে ডিউটি করেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় সারারাত পুলিশ থাকে। এখন এই আন্দোলনের জন্য সারারাত জেগে পুলিশকে থাকতে হবে কেন?  পাশাপাশি তিনি বলেন, অনেক হয়েছে আন্দোলন এবার পুজোতে ফিরুন। এবার উৎসবে ফিরুন। মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবে ফেরার আহ্বান রাজ্যের সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মন্তব্যের জেরে প্রতিবাজের ঝড় উঠেছে।

 

প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। নির্যাতিতার দেহ অতি সক্রিয়তার সঙ্গে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও নির্যাতিতার দেহ দাহ করার আগে পুলিশের তরফে নির্যাতিতার বাবাকে টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, এই বিষয়ে খোদ নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেন। পাশাপাশি ১৪ তারিখে আরজি করে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। সেখানে কার্যত নীরব ভূমিকা পালন করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, পুলিশ দুষ্কৃতীদের ভয়ে মহিলা শৌচালয়ে লুকিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কলকাতা পুলিশ ও নগরপাল বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কার্যত ফেটে পড়ে। প্রায় প্রতি মিছিল থেকে বিনীত গোয়েল ও কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠতে থাকে।

 

Google news