West Bengal: “২১-এর বেশি তৃণমূল নেতা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন” ফের বিস্ফোরক দাবি মিঠুনের

 

 

খবরএইসময় ডেস্ক –  মঙ্গলবার দেশের রাজধানীতে বিজেপির দুদিনের জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী  বলেছেন, আগামী 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করা দরকার। দলের সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং গীর্জা পরিদর্শন করতে হবে। সব ধর্মের মানুষের কাছে পৌঁছানোর ওপর জোর দিয়ে বিজেপি কর্মীদের  উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, বিনিময়ে ভোটের আশা না করে পাসমান্ডা মুসলিম, বোহরা সম্প্রদায়, মুসলিম পেশাদার এবং শিক্ষিত মুসলমানদের সাথেও দেখা করা এবং সীমান্ত এলাকার গ্রামের মানুষের সাথে আরও বেশি করে জন সংযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান। পাশাপাশি বাংলার বিজেপি কর্মী ও নেতাদেরও রাজ্যে কঠোর পরিশ্রমের কথাও বলেন।

 

এরপরই বাংলার বিজেপি ব্রিগেড নড়েচড়ে বসেন। বুধবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও অগ্নিমিত্রা পাল মহাতারকা মিঠুন চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবনের বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার শুরু করে দিলেন। সোনাখালীর ভারত সেবাশ্রম সংঘ থেকে ৩ কিলোমিটার পথ মিছিল করেন। মহাগুরুকে দেখতে রাস্তার দু’ধারে বহু মানুষের ভিড় জমে গিয়েছিল। মিছিল শেষে বাসন্তীতে একটি জনসভায় মিঠুন সংখ্যালঘু ভোটারদের আশ্বস্ত করে বলেন, “যাদের সঠিক আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড আছে তাদের চিন্তা করার দরকার নেই। তারা এই দেশের একজন নাগরিক সুতরাং কেউ তাদেরকে এই দেশ থেকে বাইরে বের করতে পারবে না। “

এরপর সভায় বিস্ফোরক দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে ২১ জনের বেশি তৃণমূল নেতা ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছেন। কোনও প্রমাণ ছাড়া তিনি এই কথা বলছেন না।  সঠিক সময়ে সবকিছু প্রকাশ্যে আনবেন বলে জানান বিজেপির এই তারকা নেতা। তিনি বলেন, “আমরা পরাজয়ে ভীত নই, তবে চাই নির্বাচন সহিংসতা ছাড়াই হোক। তিনটি আসন থেকে, আমরা 77 টি আসনে পৌঁছেছি (2021 পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে)। হ্যাঁ, আমরা জিততে পারিনি, কিন্তু আমরা খুব ভালো পারফর্ম করেছি,” বলেন মহাগুরু।

 

 বুধবার টিএমসিকে আক্রমণ করে মিঠুন বলেন, “কিছুই স্থায়ী নয়” এবং পশ্চিমবঙ্গে একটি রাজনৈতিক পরিবর্তন অনিবার্য। শুধুমাত্র একটি “আন্দোলন” রাজ্যের কথিত “দুর্নীতিগ্রস্ত পরিস্থিতি” রোধ করতে পারে। উদাহরণ টেনে পাশের রাজ্য ত্রিপুরা গত পাঁচ বছরে ‘অবিশ্বাস্য উন্নয়ন’ করেছে বলে জানান তিনি।

এরপর কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে (কেআইএফএফ) আমন্ত্রণ না পেয়ে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, কিন্তু তাতে কী আসে যায়? সাত দিন পর আরেকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু সময় না থাকায় যেতে পারিনি।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তীকে দলের কোর কমিটিরক অন্তর্ভুক্ত করা হয়।  গত বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির (BJP) হয়ে রাজ্য জুড়ে প্রচার করতে দেখা যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে।

Google news