Modi’s Rally: ‘অভিযুক্তের নাম শেখ শাহজাহান বলেই কি’, সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদির

তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটের আগে আজ পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে জনসভা (Modi’s Rally) করেন নরেন্দ্র মোদি। এই জনসভা থেকে একের পর এক বাক্যবাণে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন তিনি। মোদি বলেন, টিএমসির লোকেরা বলে যে তারা মোদির মাথা লাঠি দিয়ে ভাঙবে, মোদিকে গুলি করবে, আমি ভয় পাওয়ার লোক নই। এই মানুষদের বোঝা উচিত যে শ্রমিকরা কখনও ভয় পায় না। দরিদ্ররা কখনও ভয়ে বাস করে না, আমি দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছি, তাই আমি কখনও ভয় পাই না। আমি এটাও ঠিক করেছি যে, আপনারা আমাকে যত বেশি ঘৃণা করবেন, আমাকে তত বেশি গালিগালাজ করবেন, আমি দেশবাসীকে তত বেশি ভালবাসব। “আমি মজা করার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি, আমি নিজের জন্য বাঁচতে চাই না। রায়বরেলিতে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, ‘পালাবেন না, ভয় পাবেন না। কংগ্রেস সংবিধান পরিবর্তন করতে চায়। এটি উপজাতি, তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতিদের সংরক্ষণ নিতে চায় এবং একটি নির্দিষ্ট ভোট ব্যাঙ্ক সহ জিহাদিদের দিতে চায়। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এক টিএমসি বিধায়ক হুমকি দিয়েছিলেন যে হিন্দুদের দুই ঘন্টার মধ্যে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেওয়া হবে, এটা কেমন কথা?” আপনি কি হিন্দুদের ঘৃণা করেন? বাংলার হিন্দুদের সঙ্গে আসলে কী চলছে?

বাংলার টিএমসি সরকার এখানকার হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে, তারা কী ধরনের মানুষ? জয় শ্রী রাম বললে তাদের জ্বর চলে আসে। তারা রাম মন্দির নির্মাণের বিরোধিতা করেন। আজ আমি জানতে চাই, সন্দেশখালিতে দলিত বোনদের সঙ্গে এত বড় অপরাধ হয়েছে। কেন টিএমসি অপরাধীকে রক্ষা করছিল? অভিযুক্তের নাম শেখ শাহজাহান বলেই কি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্দেশখালির মেয়েরা গান শুনিয়েছেন। মজদুরি করা বোনেরা সন্দেশখালির সমস্যার কথা শুনিয়েছেন। গানটি বাংলায় ছিল, আমি আমার চোখের জল ধরে রাখতে পারছিলাম না। প্রত্যেকেরই এই গানটি শোনা উচিত। এই গানটি হৃদয়বিদারক। বাংলা না বুঝলেও আপনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বেন। তিনি বলেন, ‘টিএমসি তুষ্টির কাজে লিপ্ত। ভোটের জন্য ক্ষুধার্তরা নতুন কিছু নিয়ে এসেছেন। দুই দফায়, তাদের দুনিয়া ডুবে গেছে বলেই এখন নতুন ধরণের খেলা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে।

সলমন খুরশিদের ভাগ্নির ‘ভোট জিহাদ’ মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে মোদি বলেন, কংগ্রেসের মুখপাত্র তিনি, বিশেষ ব্যক্তি, বলে যে, মোদির বিরুদ্ধে ভোট জিহাদ করো। আমাদের দেশের মানুষ খুব ভালো করেই জানে জিহাদ কী। দশকের পর দশক ধরে দেশে ভোট জিহাদের খেলা পর্দার আড়ালে চলে আসছে। এখন প্রথমবার এতটাই হতাশ নিরাশ হয়ে পড়েছে যে, মাইক লাগিয়ে সার্বজনিক ভোট জিহাদের কথা বলছে। কংগ্রেসের পরিবার মানেই টিএমসির পরিবার, বামদের পরিবার ভোট জিহাদের এই বক্তব্য নিয়ে চুপ করে আছে। এরা সবাই একই মত পোষণ করে।

Exit mobile version