সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন (Parliament Session) ২১শে জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে। অধিবেশনটি ২১শে আগস্ট পর্যন্ত চলবে এবং এবার মোদী সরকার প্রায় ১৬টি নতুন বিল সংসদে উপস্থাপন করতে পারে, যার মধ্যে ৮টি নতুন এবং ৮টি পুরানো বিল হতে পারে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বর্ষাকালীন অধিবেশনের ঘোষণা করেছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও বর্ষাকালীন অধিবেশন আহ্বানের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উদযাপন রয়েছে, যার কারণে ১৩ই এবং ১৪ই আগস্ট সংসদ বসবে না। বর্ষাকালীন অধিবেশন (Parliament Session) শুরু হওয়ার আগে, ২০শে জুলাই সকাল ১১টায় একটি সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে অধিবেশনের এজেন্ডা এবং বিল নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এই নতুন বিলগুলি অধিবেশনে উত্থাপন করা হতে পারে
সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে, মোদী সরকার মার্চেন্ট শিপিং বিল, ইন্ডিয়ান পোর্টস বিল ২০২৫, কোস্টাল শিপিং বিল, ন্যাশনাল স্পোর্টস গভর্নেন্স বিল, ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং সংশোধনী বিল, মণিপুর জিএসটি বিল, আইআইএম সংশোধনী বিল এবং ট্যাক্সেশন সংশোধনী বিল সহ ১৬টি বিল পাস করার পরিকল্পনা করছে। মার্চেন্ট শিপিং বিলটি দেশের সামুদ্রিক বাণিজ্য ও জাহাজ চলাচলের নিয়ম আধুনিকীকরণের জন্য প্রস্তাবিত। ইন্ডিয়ান পোর্টস বিল ২০২৫ দেশের বন্দরগুলির ব্যবস্থাপনা এবং বাস্তবায়ন উন্নত করার জন্য প্রস্তাবিত।
ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলে জাহাজ চলাচল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকূলীয় জাহাজ চলাচল বিল, দেশের ক্রীড়া প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির জন্য জাতীয় ক্রীড়া শাসন বিল, খেলাধুলায় ডোপিং প্রতিরোধে নিয়ম আরও কঠোর করার জন্য জাতীয় ডোপিং বিরোধী সংশোধনী বিল, উত্তর-পূর্ব দেশ মণিপুরে পণ্য ও পরিষেবা কর সম্পর্কিত বিশেষ বিধান করার জন্য মণিপুর জিএসটি বিল এবং কর বা আয়কর সম্পর্কিত আইনগুলিতে পরিবর্তন আনতে এবং সেগুলিকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করার জন্য কর ব্যবস্থা সংশোধনী বিল।
বর্ষাকালীন অধিবেশনেও এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা সম্ভব
পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা এবং অপারেশন সিন্দুরের পর সংসদে বর্ষাকালীন অধিবেশন (Parliament Session) আসছে, তাই অধিবেশনে এই দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় হট্টগোলের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বিরোধীরা মোদী সরকারের কাছে এই দুটি বিষয় নিয়ে বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছিল, যা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবও অধিবেশনে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়েও আলোচনা সম্ভব। বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন, মহারাষ্ট্রে মারাঠি ভাষা বিরোধ, মণিপুরে সহিংসতা ও নারী সুরক্ষা, ট্রাম্পের শুল্ক সহ অনেক বিষয় নিয়ে মোদী সরকারকে ঘিরে ফেলতে পারে বিরোধী দল কংগ্রেস।