West bengal DA case: সোমে কি মিলবে রাজ্যে সরকারী কর্মীর মহার্ঘ্য ভাতা? তাকিয়ে সুপ্রিম নজরের দিকে

পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) (DA)মামলা নিয়ে সোমবার শুনানি (verdict) হবে। প্রায় চার মাস পরে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উঠছে রাজ্যের ডিএ মামলা( West bengal DA Case)। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর ছিল, সোমবার বিকেল নাগাদ মামলাটির শুনানি হবে।

এর আগে ১১ বার এই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কোনও নির্দেশ দেয়নি। এমতাবস্থায় বর্ধিত ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের নজর এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪। উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারইমধ্যে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করেছিল তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন। সেই মামলার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য

২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর মামলাটির শেষ বার শুনানি হয়েছিল। ওই বছর নভেম্বরের ৩ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে আরও বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। তার পরে সময়ের অভাবে মামলাটির আর শুনানি হয়ে ওঠেনি। বারবার মামলা উঠেছে আদালতে। তবে শুনানি আর হয়নি।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে ডিএ সংক্রান্ত যে মামলা চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত। ২০১৬ সাল থেকে সেই মামলা চলছে। যা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল, কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে এসেছে। প্রথমে স্যাটে জয় পেয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপর থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে জয় পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। উচ্চ আদালত রাজ্যকে কর্মচারীদের কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

বাংলায় ২০২০ সালে রাজ্য ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হওয়ার পরে ৩ শতাংশ ডিএ বেড়েছিল। এর পরে ২০২৩ সালের বাজেটের সময়ে আরও ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়। আর ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আরও এক দফায় চার শতাংশ ডিএ বাড়ায় মমতার সরকার। এরপর এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হয়েছে আরও ৪ শতাংশ ডিএ। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ একাধিকবার বেড়ে ৫০ শতাংশ হয়েছে। আর বাংলা আটকে ১৪ শতাংশে। আর বর্তমান এই ডিএ মামলাটি হচ্ছে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া ডিএ নিয়ে।

Google news